এফএনএস : দেশে গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রাজশাহী বিভাগ সাংবাদিক সমিতি- ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমেরও বিকাশ ঘটেছে। আর গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্দাবাজও তৈরি হচ্ছে। তারা একটি ব্রিফকেস নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যায়। বিজ্ঞাপন ম্যানেজ করে, যখন ম্যানেজ হয় তখন সেই পত্রিকা বের করে। এর প্রভাব মূলধারার গণমাধ্যমে পড়ছে।
তাই ২১০টি পত্রিকা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, ২১০টি পত্রিকা, যেগুলো আসলে ছাপানো হয় না। মাঝে মাঝে ছাপে বা চোরাগুপ্তা ছাপে। এই পত্রিকাগুলো আমি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই পত্রিকাগুলা মাঝে মাঝে কোথা থেকে ছাপা হয় কেউ জানে না। এগুলোর থাকার দরকার নেই। গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধান্ধাবাজও তৈরি হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। কেউ গণমাধ্যমকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। কেউ ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। আবার অনেকে আছে, নিজেই মালিক, সম্পাদক, রিপোর্টার।
তিনি আরও বলেন, যেগুলো ভালো গণমাধ্যম তারা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। সেগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে পরিচালিত হয় না, রাষ্ট্রের ও জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়। দেশের উন্নতির কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের কথা ফখরুল সাহেব স্বীকার করুক আর না করুক আজকে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেন, বিশ্বব্যাংক স্বীকার করে। হাছান মাহমুদ বলেন, উনারা স্বীকার করুক আর না করুক কিছু আসে যায় না। ওঁদের হেড কোয়ার্টার, ওঁরা যে আদর্শে উজ্জীবিত, সেই পাকিস্তান অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে।
ইমরান খান নিজেই স্বীকার করেন। সব সূচকে আমারা তাদের পেছনে ফেলেছি। শুধু ফখরুল সাহেব স্বীকার করেন না। সভায় বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।