মঙ্গলবার

১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গোদাগাড়ীতে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত এক আহত দশ থার্মোমিটারের পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়ালো গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল পাবনায় এক দিন একই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতির মৃত্যু! রাজশাহীতে পদ্মায় নিখোঁজ ২ শিশুর মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার ঈদ-নববর্ষের ছুটি শেষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু কোন দিকে যেতে পারে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত? টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষ, আজ খুলছে অফিস মুক্তিপণ দিতে হয়েছে ৫০ লাখ ডলার বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যু গ্রেফতার পুন্ড্র সাহিত্য সংসদ বসালো দুই বাংলার কবি লেখকদের মিলন মেলা

ইসলামি ব্যাংকে এক চাবিতে খোলে দুইটি লকার, স্বর্ণ উধাও!

Paris
Update : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ইসলামি ব্যাংক শাখার লকার থেকে ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাওয়ের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে রায়পুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় ব্যাংক ম্যানেজার ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, বিচারক তারেক আজিজ অভিযোগটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে এফআইআর দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী নাজমুন নাহার উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের নজির আহমেদের স্ত্রী। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইসলামি ব্যাংক রায়পুর শাখায় তিনি একটি লকার হিসাব (হিসাব নম্বর-৬৯) খোলেন।

হিসাব অনুযায়ী ১৮ নম্বর চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকারে তিনি ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জমা রাখেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে চাবি হস্তান্তর করেন। লকারে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় ১৯ লাখ টাকা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকে এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিনি লকারের কক্ষে যান। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাস্টার চাবি ও বাদীর কাছে থাকা চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকার খোলেন। কিন্তু লকারে কোনো স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়নি। পরে একই চাবি দিয়ে ২০ নম্বর লকার খুলে স্বর্ণের বাক্স বের করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তবে বাক্সের সঙ্গে থাকা স্বর্ণের ওজনের রশিদ পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, ওই বাক্স খুলে দুটি আংটি, এক জোড়া নূপুর, এক জোড়া কানের দুল ও একটি চেইন পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে নাজমুন নাহার স্বর্ণের ওজন পরিমাপ করতে গিয়ে দেখেন ছয় ভরি স্বর্ণ কম রয়েছে। উধাও স্বর্ণের দাম প্রায় চার লাখ টাকা। ভুক্তভোগী নাজমুন নাহার বলেন, আমি ১৮ নম্বর লকারে স্বর্ণ রেখেছিলাম। তবে যথাস্থানে না পেয়ে ২০ নম্বর লকার থেকে স্বর্ণের বাক্স বের করে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, দুই লকারেরই একটি চাবি। বিষয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে জানালে তিনি সঠিক জবাব দিতে পারেননি। ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করেছেন। আমি এর সুবিচার চাই। ইসলামী ব্যাংক রায়পুর শাখার ব্যবস্থাপক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টিত লকার থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি বা উধাও হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নাজমুন নাহার যা রেখেছেন তাই পেয়েছেন। তার অভিযোগটি সঠিক নয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris