শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে প্রায় ৮৭ কোটি টাকার আম বিক্রি

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও রাজশাহীতে এখনো মিলছে আশ্বিনা, বারি-৪ ও কাটিমন ছাড়াও কয়েকটি ভিন্ন জাতের আম। এরইমধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে এ জেলায় আমের মোট বিক্রির একটি হিসাবও কষেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাদের তথ্যমতে, রাজশাহীতে প্রায় ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার আম বিক্রি হয়েছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার ১২০ টাকার আম। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ১৫ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেশি বিক্রি হয়েছে। জেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে।

হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে ১২ দশমিক ১০১ মেট্রিকটন। সম্ভাব্য মোট উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ১২৮ দশমিক ২৪ শতাংশ মেট্রিকটন আম। গেলো ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমিতে। হেক্টর প্রতি গড় ফলন হয়েছে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ মেট্রিকটন। সাম্ভাব্য মোট উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ দশমিক ৫৩ শতাংশ মেট্রিকটন আম। এ বছর বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি ও সুইজারল্যান্ডে ল্যাংড়া, আম্রপালি, খিরসাপাত, তোতাপুরি, গোপালভোগ জাতের প্রায় ১৫ মেট্রিকটন আম রপ্তানি হয়েছে।

এর আগের বছর বিদেশে ১২ মেট্রিকটন আম রপ্তানি করা হয়েছিল। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, এ বছর আমের উৎপাদন ভালো হওয়ায় প্রায় ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকারও বেশি আম বিক্রি করেছেন রাজশাহী জেলার আমচাষি, ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা। এবার আমের উৎপাদন গতবারের চেয়েও প্রায় ৩৬ হাজার মেট্রিকটন বেশি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছিল। তবে করোনা ও লকডাউনে ক্রেতা সঙ্কটের কারণে প্রত্যাশিত মুনাফা ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন আম ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris