শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! বাগমারায় এক স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি : লিটন প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করল প্রেমিকা! গোদাগাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন প্রতারক রাজশাহীতে গ্রেফতার পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন পুত্রবধূ! রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

দেশে সাড়ে ছয় মাস পর করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে

Paris
Update : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : দেশে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত সোমবার শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে গত ৮ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তার আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। সে হিসাবে ১৯৭ দিন বা সাড়ে ছয় মাস পর সর্বনিম্ন শনাক্ত হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৮১০টি ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৪টি। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ২৭৭ জনে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৬২ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৬০৩ জন।

এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ চার হাজার ৭০৯ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন, ষাটোর্ধ্ব আটজন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন ও আশি-উর্ধ্ব একজন ও নব্বই বছরের বেশি একজন মারা যান। বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে তিনজন, রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় দুইজন, সিলেটে দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ববিদদের মতে, কোনো দেশে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ বা তার চেয়ে কম থাকলে এবং এ হার চার সপ্তাহ বিদ্যমান থাকলে করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে গণ্য করা যেতে পারে।

গত জুলাই মাসে প্রতি ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩২ শতাংশেরও বেশি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সরকারি নির্দেশনায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধসহ দেশজুড়ে দেড় মাসেরও বেশি সময় কঠোর লকডাউন পালিত হয়। লকডাউনের পাশাপাশি করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলতে থাকে। গত এক মাস ধরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমেই কমছে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris