শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বাগমারায় এক স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি : লিটন প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করল প্রেমিকা! গোদাগাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন প্রতারক রাজশাহীতে গ্রেফতার পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন পুত্রবধূ! রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা মুজিবনগর সরকার আমাদের প্রেরণা : আসাদ

ডিজিটাল নিরাপত্তায় ৯৯৯ সংযুক্তির দাবি

Paris
Update : রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : দেশের সাড়ে ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে দ্রুত নিরাপত্তা দিতে পুলিশের জনপ্রিয় সেবাদানকারী কল সেন্টার ৯৯৯-কে সংযুক্তির দাবি জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আমরা যেকোনো সময় নাগরিক নিরাপত্তা বা কেউ বিপদগ্রস্ত হলে ৯৯৯-এ ফোন করে দ্রুত সেবা পেয়ে থাকি। কিন্তু মুক্ত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও সাইবার ঝুঁকিতে পতিত হচ্ছে।

এ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়ার মতো সেবার কোনো পদ্ধতি বা কল সেন্টার এখনো গড়ে ওঠেনি। প্রতিনিয়ত সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে ফ্রি ফায়ার, পাবজি গেম বন্ধ ও স্কুল কলেজ খোলার পর অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম অনেকাংশে কমে গেলেও এখনো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার প্রায় আগের মতোই অর্থাৎ প্রায় দুই হাজার ৬৪৬ জিবিপিএস ব্যবহার হচ্ছে। এ থেকেই অনুমেয় ইন্টারনেট ছাড়া নাগরিক জীবন অচল- বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আরও বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী বা ইন্টারনেট অপব্যবহারকারী গ্রাহকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ, সাইবার বুলিং, মিথ্যা অপপ্রচার, ব্যক্তিগত ভিডিও প্রচার, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

যদিও আমাদের দেশে এ থেকে গ্রাহকদের নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিট, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি, বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ডট, সিআইডি, পুলিশসহ সরকারি অন্যান্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি না থাকায় গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করে। এমনকি অনেকেই ইতোমধ্যে বিটিআরসিকে প্রধান টার্গেট করে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। দ্রুত সমাধান পেতে কোথায় ফোন করবে বা যাবে সেটি স্পষ্ট নয়। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় পুলিশের দ্রুত সেবাদানকারী কল সেন্টার ৯৯৯-কে সমন্বয় করা গেলে তারাই গ্রাহকের অভিযোগ শুনে নির্ধারণ করে দেবে। এটির সমাধান কে করবে বা গ্রাহককে নিরাপত্তা দিতে কোন এজেন্সি বা কোনো দপ্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে? আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে পুলিশের কল সেন্টার ৯৯৯-কে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হোক।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris