বুধবার

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী

বাড়ছে মানহীন গানের সংখ্যা

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : গান এখন আর ক্যাসেট কিংবা সিডির যুগে পড়ে নেই। বরঞ্চ প্রযুক্তির প্রভাবে প্রথম ক্যাসেট ও পরবর্তীতে সিডি মাধ্যম বিলুপ্ত হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই ডিজিটালি প্রকাশ পাচ্ছে গান। গান প্রকাশের ও শোনার সবচেয়ে সহজ ও বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউটিউব। অনেক মোবাইল ফোন কোম্পানি আবার অ্যাপসেও প্রকাশ করছে গান। তবে ইউটিউব যেহেতু সবার জন্য উন্মুক্ত তাই এখন আর অডিও কোম্পানির ওপর নির্ভর হয়ে থাকতে হচ্ছে না গান প্রকাশের জন্য। আগে একটি নিয়মের মধ্যে দিয়ে কোম্পানিগুলো থেকে গান প্রকাশ হতো ক্যাসেট কিংবা সিডিতে। সেই বিষয়টি না থাকার ইতিবাচক দিকটি হচ্ছে অনেক মেধাবী শিল্পী নিজেই ইউটিউবে গান প্রকাশ করতে পারছে।

কিন্তু তার বিপরীতে নেতিবাচক প্রভাব আরও বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউটিউব আসার পর থেকে যে কেউ বনে যেতে পারছেন গায়ক কিংবা গায়িকা। গানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকুক আর না থাকুক, কণ্ঠ থাকুক আর না থাকুক, যে কেউ প্রযুক্তির সহায়তায় খুব সহজেই ইউটিউবে গান প্রকাশ করতে পারছেন। যার ফলে দেশীয় বাংলা গানের মানে নেমেছে ধস। গত কয়েক বছরে ক্রমাগতভাবে মানহীন গানের সংখ্যা কেবল বেড়েছে। তার মধ্যে বেশকিছু তথাকথিত ভাইরাল গায়ক কিংবা গায়িকার মানহীন গানের কারণে ভালো মানের গানগুলো থেকে যাচ্ছে আড়ালে।

প্রচারের দিক দিয়েও পিছিয়ে থাকছে ভালো মানের গানগুলো। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও অনেক আলোচনা-বৈঠক হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মানহীন ও অশ্লীল গানের আধিক্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর ইউটিউবের মাধ্যমে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৌতুক অভিনেতাও বনে যাচ্ছেন গায়ক-গায়িকা! বিষয়টি নিয়ে কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেন, এখন তো সবাই শিল্পী! গান শিখে আসুক আর না আসুক। প্রযুক্তির মাধ্যমে সবাই গায়ক কিংবা গায়িকা বনে যাচ্ছেন। আসলে শুধু গানের ক্ষেত্রেই নয়। এমনটা প্রতিটি ক্ষেত্রে হচ্ছে। যে যেটার যোগ্য না সে সেটাই করছে।

এ কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। গানের ক্ষেত্রে তো অবস্থা আরও মারাত্মক। তাই বলতে হয় প্রযুক্তি যেমন অনেক কিছু সহজ করেছে, আবার অনেক কিছু নষ্টও করেছে। তবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই। শ্রোতাদের সচেতন হতে হবে। এ ধরনের গানকে ভাইরাল করছে কিন্তু শ্রোতারাই। আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বরেণ্য গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বলেন, গানের মান ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। অনেক আগেই গানের সেন্সর বোর্ড গঠনের কথা বলে আসছি। সেটা হলে এ ধরনের মানহীন গান প্রকাশ হতো না।

দেরি হলেও এখনই উচিত সেন্সর বোর্ড গঠনের মাধ্যমে এ ধরনের অবস্থা প্রতিহত করা। বিষয়টি নিয়ে চলতি প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী ইমরান বলেন, ভালো ও খারাপ সব ধরনের কাজই এখন হচ্ছে। তবে নেতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি। তাই সেসব গান কিংবা কনটেন্ট মানুষ ভাইরাল করছে। কিন্তু এর প্রভাব পড়ছে আমরা যারা ভালো গান করার চেষ্টা করছি তাদের ওপর। কারণ মানহীন কিংবা অশ্লীল গানগুলো ভাইরাল হলে ভালো গান স্বাভাবিকভাবেই প্রচারে আসে কম। তাই আমি মনে করি শ্রোতাদের এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris