বৃহস্পতিবার

১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্যাকেটজাত হিমায়িত খাদ্যে আগ্রহী হচ্ছে দেশের মানুষ

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : দেশে ক্রমেই প্যাকেটজাত হিমায়িত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। তবে করোনার প্রভাবে হিমায়িত খাদ্যের বাজার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শুধু দেশেই হিমায়িত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে তা নয়, বিদেশেও ওই প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের বাড়তি চাহিদা বেড়েছে। প্রতিবছর হিমায়িত খাদ্যের ব্যবসা ২০ শতাংশ করে বাড়লেও গত দুই বছরে ওই বাজার দ্বিগুণ হয়েছে। হিমায়িত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মূলত মহামারির সময়ে মানুষের সীমিত চলাফেরা, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিধি-নিষেধ, বাসা থেকে কাজসহ বিভিন্ন কারণে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। তাছাড়া অনলাইনে কেনাকাটা বাড়ায় মানুষের হিমায়িত খাদ্যের ওপর বাড়তি নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। বিদ্যমান করোনার প্রভাবে মানুষজন হোটেল-রেস্টুরেন্ট, পাড়া-মহল্লার ছোট খাবারের দোকানে কম যাচ্ছে। বিপরীতে তারা প্যাকেটজাত স্ন্যাকসজাতীয় হিমায়িত খাদ্যে বেশি আগ্রহী হচ্ছে। বর্তমানে স্ন্যাকসজাতীয় হিমায়িত খাদ্যের বাজার প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। আর চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের প্যাকেটজাত হিমায়িত খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে।

তাছাড়া বিদেশেও হিমায়িত খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। বিদেশে পরোটা ও ভেজিটেবল স্ন্যাকসের চাহিদা বেশি। রপ্তানিতে তার প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫০ শতাংশ। এখন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫০ শতাংশ। তার মধ্যে বিদেশে ঝটপট ব্র্যান্ডের পরোটা ও ভেজিটেবল স্ন্যাকসের চাহিদা বেশি। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে ঝটপটের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। সম্প্রতি ওমানে রপ্তানি শুরু হয়েছে। শিগগিরই মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, আরব আমিরাতে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি শুরু হবে। হিমায়িত খাদ্য সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য খুচরা বিক্রেতা পর্যায় পর্যন্ত সরবরাহের ব্যবস্থা (কোল্ড চেইন) ঠিক রাখতে হয়। করোনা মহামারিতে সুপারশপগুলোতে হিমায়িত খাদ্য বিক্রি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে ফ্রোজেন ফুডসের মধ্যে পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, চিকেন মমো, চিকেন ফ্রাই, চিকেন নাগেটস, ফ্রেঞ্চফ্রাই, চিকেন মিডবল খাবারগুলোর চাহিদা ২৫-৩০ শতাংশ বেড়েছে। ক্রেতারাও এখন ওসব প্যাকেটজাত ফ্রোজেন খাদ্য কিনে স্বাচ্ছন্দবোধ করছে। বিগত ২০১৩ সালে হিমায়িত খাদ্যের বাজারে আসে ঝটপট ফ্রোজেন ফুড। বর্তমানে ঝটপট ব্র্যান্ডের অধীনে প্রায় ৪০ ধরনের পণ্য রয়েছে। ওসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, রুটি, চিকেন স্প্রিং রোল, চিকেন নাগেট, চিকেন পেটি, চিকেন সসেজ, পুরি, পপকর্ন, স্ট্রিপস, ফ্রেঞ্চফ্রাইসহ বিভিন্ন পণ্য। পণ্যভেদে ক্রেতারা সর্বনিম্ন ৮০ থেকে ৩২০ টাকার মধ্যে ঝটপট ব্র্যান্ডের ফ্রোজেন খাদ্য কিনতে পারছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল জানান, করোনাকালে স্ন্যাকসজাতীয় হিমায়িত খাবারের চাহিদা অনেক বেড়েছে। ওসব খাদ্যের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ৩০-৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে ভোক্তারা ঝটপট ব্র্যান্ডের পরোটা ও প্রোটিন স্ন্যাকস বেশি কিনেছে। প্রোটিন স্ন্যাকসের মধ্যে নাগেট, চিকেন সমুচা, চিকেন স্প্রিং রোল, চিকেন সসেজ, চিকেন নাগেট, ফ্রেঞ্চফ্রাইয়ের চাহিদা বেশি। বতর্মানে ঝটপট ব্র্যান্ডের ফ্রোজেন ফুডসের বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris