তথ্যবিবরণী : রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় পর্যাযের সকল কর্মকর্তা ও রাজশাহী মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মতবিনিময় সভা গতকাল শনিবার বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। মতবিনিময় সভায় আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন দেখেছিলেন চর্তুদিকে শুধু বঞ্চনা আর বঞ্চনা। তিনিও একটি দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু এক সময় ঘাতকরা তাকেই হত্যা করেছিলেন। সেই থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দুর্নীতি একটি ঘৃর্নীত কাজ। দুর্নীতি থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ছিল সরকারী কর্মচারীরা অর্থকষ্টে থাকলে দুর্নীতি করবে। সেই ধারণা থেকেই তিনি ১৯১৫ সালে সরকারী কর্মকর্তাদের এক হাই পেÑস্কেল প্রদান করেন। তারপরও দেশ থেকে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি কর্মক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আমাদেরকে নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির প্রবণতা দূর করতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের জন্য ২৫০-৩০০ লোক কাজ করে দুর্নীতি কমানো যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন নিজে নিজেই পরিশুদ্ধ হওয়া। সামান্য ৫০ হাজার টাকার ্একটি দুর্নীতি মামলার জন্য ২০-৩০ লাখ টাকার মামলায় লড়তে হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের কোন লোক আপনাকে বলবে না যে, আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ আছে।
তারা নিজে নিজেই সাবধানতা অবলম্বন করেন। আপনারা যা খাবেন যা পড়বে তাই লাভ। মনে রাখতে হবে দুর্নীতি করে শুধু পাপের ভাগী হতে হয়। করোনাকালে বিভিন্ন ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে কত রকমের দূর্নীতি হয়েছে তা কল্পনা করা যায় না। এ সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে পারলে আমরা অনেক দুর এগিয়ে যেতাম। আমরা দুর্নীতি নিয়ে অনেক কাজ করি। আপনারা দুর্নীতি করে টাকা রাখতে পারবেন না। দুর্নীতি করে শুধু ছেলে মেয়েদের কাছে অপমানিত হতে হয়।
তিনি বলেন, আপনারা যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। দুর্নীতি ঢেকে রাখা যায় না। যেখানে পাবলিকের যাতায়াত বেশি সেখানেই দুর্নীতির বেশি। আপনাদের সবাইকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো: জিয়াউল হক এর সভাপতিত্বে অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র বিপিএম, কর্ণেল সাব্বির আহমেদ, বিজিবি, বর্ডার গার্ড, বাংলাদেশ এবং রাজশাহী বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।