শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে আদিবাসী পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

Paris
Update : শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি ও সমতল আদিবাসীদের জন্য মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি সংগ্রাম ও গৌরবের ২৮ বছর। ৩রা সেপ্টেম্বর জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় ও স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠন সহ ৯ দফা দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর শহীদ জামিল আক্তার রতন মিলনায়তনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আলোচনার শুরুতে আদিবাসী অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও আলোচনা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি বিমল রাজোয়াড়’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য খ্রিস্টিনা বিশ্বাস, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য দেবাশীষ প্রামানিক দেবু, সহ-সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক সুসেন কুমার শ্যামদুয়ার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজকুমার শাঁও, বিভূতী ভূষণ মাহাতো, গোদাগাড়ী উপজেলা কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম, আদিবাসী যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নবদ¦ীপ লাকড়া, রাজশাহী জেলা সভাপতি উপেন রবিদাস, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন ম্ন্ডুা প্রমূখ। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সাল।

জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপি আদিবাসী বর্ষ ঘোষণা করলে বাংলাদেশের তৎকালিন বিএনপি সরকার ঘোষণা দেয় যে, “বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই।” একই সময়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাবইলডাইং গ্রাম গুড়িয়ে দেয় ভূমিদস্যু ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা। এতে প্রায় ৫০ টি আদিবাসী সাঁওতাল পরিবারের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। এতে আদিবাসীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং জোরদার আন্দোলনের ফলে রাষ্ট্র সেখাকার আদিবাসীদের নিজ জমিতে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।

১৯৯৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারের আদিবাসী বিরোধী বক্তব্য ও তানোরে সাঁওতাল গ্রাম উচ্ছেদের প্রতিবাদে ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে রাজশাহীর এক আদিবাসী গ্রাম থেকে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নামে আদিবাসীদের নিজস্ব সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। আদিবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও রুটি রুজির স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে সংগ্রাম অব্যাহত রাখাই এই সংগঠনের উদ্দেশ্য। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আদিবাসীদের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি, ভূমি ও আত্মপরিচয়ের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেই চলেছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris