শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জোর করে নয়, চাঁপাইয়ে গ্রাহক চাইলেই স্মার্ট মিটার স্থাপন হবে

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : গণশুনানি আয়োজনের পর গ্রাহক চাইলেই স্থাপন করা যাবে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার। জোরপূর্বক সংযোগ দেয়া যাবে না স্মার্ট মিটারের। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড-নেসকো’র সাথে মতবিনিময় সভায় এমন দাবি জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাগরিক কমিটি। আর এই দাবি মেনে নিয়েছে নেসকো’র প্রতিনিধিদল। নেসকোর চলমান স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রমের বিষয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে জেলা শহরের টাউন ক্লাব মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নাগরিক কমিটি সদস্যরা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে সুবিধার থেকে প্রিপেইড মিটারে অসুবিধা বেশি। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ এই অঞ্চলের মানুষ বেশিরভাগই অশিক্ষিত। তারা স্মার্ট মিটারের ব্যবহার জানে না, বুঝে না। এমনকি এনিয়ে অতিরিক্ত খরচের অভিযোগ রয়েছে।

খেটে খাওয়া দিননজুর, অসহায়, দরিদ্র পরিবারের জন্য মিটারে অগ্রিম টাকা দেয়া কঠিন কাজ। এমনকি এটি বেশিরভাগ মানুষেরই নৈতিবাচক ধারণা রয়েছে। নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মিটার স্থাপন কাজ চলমান রেখেছে। এসময় বাড়িতে গিয়ে তারা জোর করে স্থাপন করছে এবং এখন না করলে পরে ১২ হাজার টাকা লাগবে বলে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এছাড়া স্মার্ট মিটার স্থাপন সম্পূর্ণ ফ্রি হলে প্রত্যেক মাসে অনিদিষ্ট সময়ের জন্য ৪০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। তাই ভাড়া বাতিল করতে হবে। এছাড়াও সেবার মান বাড়াতে হবে। তার আগে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা যাবে না। শিল্প কারখানা ও বেশি বিদুৎ ব্যবহারকারী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আগে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের দাবি জানান তারা।

নেসকোর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন, ৫ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মাহবুবুল হক চৌধুরী। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল গ্রাহকদের স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এলক্ষ্যে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনসাধারণের সাথে গণশুনানি করা হবে। এসময় জনগণের মনের মধ্যে প্রিপেইড মিটার নিয়ে যেসব ভুল ধারনা রয়েছে, তার সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে সঠিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবল হক চৌধুরী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে এমন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন।

২০২২ সালের শেষ সপ্তাহের মধ্যে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট বৈদ্যুতিক মিটার গুলো স্থাপন করতে হবে। মিটার বসালে আপনারা সুফল পাবেন। ডিজিটাল মিটরের চেয়ে কম হলে বিদ্যুৎ খরচ হবে। আমরা যেসব বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসিয়েছি, ওই বাড়ির মালিকের সম্মতি নিয়েই মিটার বসিয়েছি। মিটার বসাতে কোন টাকা লাগবেনা। যদি কোন কর্মচারি মিটার বসাতে গিয়ে টাকা চাই, তাহলে আপনারা অভিযোগ দিবেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কার্ডে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা লোড করেতে পারবেন। তাছাড়া আপনাদের যখন খুশি তখন টাকা লোড করতে পারবেন।

যদি রাতে কার্ডের টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ বন্ধ হবেনা। পরের দিন বেলা ১১ টা পর্যন্ত সুযোগ করে দেয়া হবে। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ নেসকো-১ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল আজিম, নেসকো-২ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম রেজা, নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ আহমেদ বাদশা, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মনির, নাগরিক কমিটির সদস্য লেলিন প্রমানিক, আব্দুল মজিদ, শামসুল ইসলাম টুকু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শওকত হোসেনসহ জেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris