শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবি ২২ জনের লাশ উদ্ধার

Paris
Update : রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দুটি ট্রলারের সংঘর্ষে ২২ লাশ উদ্ধার করেছ ডুবুরিরা। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বিজয়নগর থানার ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাসান জানান, এর মধ্যে ১৮ জনের নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়েছে-। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। নিহত ১৮ জনের মধ্যে একজন যুবক ছাড়া বাকি সবাই নারী ও শিশু। নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের পৈরতলা এলাকার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজলা বেগম, দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেরকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮) ও চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার শিশু কন্যা তাকুয়া (৮)।

এছাড়া নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), ভাটপাড়া গ্রামের ঝারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮), বিজয়গর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭) এবং তার মেয়ে মুন্নি (১০) ও আবদুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০) ও পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের (৪৫)। বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়ন বাদেহাড়িয়া কামাল মিয়ার শিশু মেয়ে মাহিদা আক্তার (৬), একই উপজেলার মনিপুরের মৃত আবদুল বারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৮) নিহত হয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন বলেন, জেনারেল হাসপাতালে লাশগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। শনাক্তের পর ১৮ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নৌকা ডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২০ করে হাজার টাকা দেওয়া হবে।

মামলা, গ্রেপ্তার: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ট্রলারডুবির ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরও দুই জনকে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার চম্পকনগরের মৃত আবদুল হাসিমের ছেলে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় মামলাটি করেন। ট্রলারডুবির ঘটনায় তার পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তাররা হলেনÑট্রলারচালক সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শোলা বাড়ি গ্রামের আলী আফজালের ছেলে জমির মিয়া (৩৩),

একই গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে মো. রাসেল (২২), মো. কাশেম মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (২২), আশরাফ আলীর ছেলে মো. সোলায়মান (৬৪) ও বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের কালারটেক গ্রামের হাজী তালেব হোসেনের ছেলে মিস্টু মিয়া (৬৭)। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানটি উদ্ধারেও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris