শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালপুর মাদ্রাসার সংবাদ প্রকাশের পরে অপসারণ হলো নিম্নমানের ইট

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ত্রুটির অভিযোগের সংবাদ জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হবার পর নিম্নমানের ইট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত শনিবার ও রোববার ভবন নির্মাণ কাজের জলদাগি ২নং ইট অপসারণ করে ভালো ইট আনায়ন করা হয়। এর আগে সরকারী কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ১৫ আগস্ট দুপুরে মাদ্রাসায় গিয়ে নিম্ন মানের ইট দিয়ে বিল্ডিংয়ের গাথনি দেখে সংগে সংগে কাজ বন্ধ করে।
জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে বাগমারা উপজেলায় প্রায় ২২টি মাদ্রাসায় চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ চলছে।

নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলার গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার চারতলা একাডেমিক ভবনটি বাস্তবায়ন করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহী। এ লক্ষ্যে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার বরাদ্দে গত বছর ৭ই জুলাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে উদ্বোধন করা হয়। কাজটির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ছিল মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স চকবাড়িয়া, নওগাঁ। শুরুতে কাজ ভালো হলেও পরবর্তিতে সম্প্রতি ভবনের গাথনিতে নিম্নমানর ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়।

দীর্ঘ দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর গত ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা এসে নিম্ন মানের ইট গাথনি দেখতে পায়। বিষয়টি স্থানীয়সহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে অবহিত করা হলে তিনি ওই দিনই দুপুরে মাদ্রাসায় এসে নিম্নমানের ইট দেখে কাজ বন্ধ করে দেন। এছাড়া ভালো ইট না লাগানো পর্যন্ত কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। এতে বেশ কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকার পর গত মনিবার ও রোববার পুরাতন জলদাগি ইট সরিয়ে ১নং ইট আনা হয়েছে। ভালো ইট আসার বিষয় নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হোসেন।\

নিম্ন মানের ইট সরিয়ে ভালো ইট নিয়ে আসায় পুনরায় কাজ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে বলে ওই ঠিকাদারের ম্যানেজার আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে বন্ধ করা হয়েছিল। পুনরায় ভালো ইট নিয়ে আসায় কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সঠিক কাজ না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris