শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় গোপালপুর মাদ্রাসায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারায় গোপালপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার নির্মাণাধীন ভবনের নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহী মাদ্রাসাটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে গোপালপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার এই ভবন। নির্মাণের শুরুতে ভলো কাজ হলেও। বর্তমানে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঠিকাদার অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেন। সম্প্রতি বেশ কয়েক গাড়ি নিম্নমানের ইট এনে তা দিয়ে গাথুনী শুরু করে। মানহীন ওই সকল ইট দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হলে যে কোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থায়িত্ব হারাবে মাদ্রাসার এই ভবনটি।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ রকম প্রায় বিশটির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানেই এমন মানহীন নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার হয় নি। গোপালপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হোসেন সহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের নজরে আসে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের দৃশ্য। পরে বিষয়টি তারা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে জানান। বিষয়টির খবর পেয়ে গোপালপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় আসেন। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করায় সাময়িক ভাবে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। প্রায় তিন কোটি টাকার নির্মাণ কাজে কেন অনিয়মের আশ্রয় নিতে হবে এমনটাই প্রশ্ন শিক্ষকদের।

এদিকে গোপালপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার ঠিকাদার আফসান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা ইচ্ছা করে না। ভাটার মালিক কয়েক গাড়ি জলদাগি এবং নিম্নমানের ইট দিয়েছে। সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভাটার মালিকের সাথে কথা হয়েছে যে কয় গাড়ি ইট পাঠিয়েছে সেগুলা তারা ফেরত নেবে। তিনি আরো বলেন, আমরা কখনও খারাপ কাজ করিনা। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন ভাবেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে না। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে মাদ্রাসায় গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঠিকাদাররা যতো প্রভাবশালীই হোক না কেন তাকে দরপত্র মোতাবেক সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris