মচমইল থেকে সংবাদদাতা : করোনার কারণে হুড়হুড় করে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের বাজার দর। সংসারে বৃদ্ধি স্বামী থাকায় কমে গেছে পরিবারের আয়। সংসারের অবস্থাও তেমন ভাল না। বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে বিপাকে পড়েছেন আবেদার মতো নিম্ন আয়ের মানুষ। আগের মতো হাটতেও পারেন না আবেদার স্বামী। আবেদার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দেউলিয়া গ্রামে। নিজেকেই করতে হয় সংসারের বাজার। খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ “ও.এম.এস” খাদ্যশষ্যের দোকান থেকে শুক্রবার ব্যতীত চাউল এবং আটা ক্রয় করছেন আবেদা।
সপ্তাহে ৬দিন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ব্রীজঘাট সংলগ্ন একটি স্থানে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রয় করা হচ্ছে চাউল এবং আটা। প্রতিদিন ও.এম.এস-এর এই থেকে চাউল ক্রয় করছেন ৩০০ জন এবং আটা ক্রয় করছেন ২০০ জন সাধারণ মানুষ। প্রতি কেজি চাউল বিক্রয় হচ্ছে ৩০ টাকায় আর আটা বিক্রয় হচ্ছে ১৮ টাকা কেজি দরে। একজন মানুষ দিনে ৫ কেজি চাউল অথবা ৫ কেজি আটা কিনতে পারেন এখান থেকে। বাজারের আটার চেয়ে অনেক ভালো মানের বলে এর চাহিদাও বেড়ে গেছে। সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে ও.এস.এম-এর চাউল এবং আটা বিক্রয়।
আবেদার মতো ও.এম.এস-এর দোকান থেকে আবেদার মতো চাউল এবং আটা কিনছেন ভুটভুডি চালক আজিজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল প্রমুখ। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ও.এম.এস-এর ডিলার রফিকুল ইসলাম চাউল এবং আটা বিক্রয় করে আসছেন ৩১ বছর ধরে। রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে নৃত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের ঘাটতি হলে এবং অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি পেলে ও.এম.এস-এর চাউল এবং আটা বিক্রয় করা হয়। বাজারে চলমান মূল্যের চেয়ে দাম কম হওয়ায় দুস্থ ও গরীব অসহায় মানুষের অনেক সুবিধা হচ্ছে।