শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
ক্যানসারে আক্রান্ত হতদরিদ্র কৃষক আবুল কালামকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন তানোর উপজেলা নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে ময়না রাজশাহী নগরীতে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ৪ রাজশাহী চিনিকলের ঘটনা তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, বরখাস্ত ৩ পেলে-ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলে সেরা মেসি ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা : জাতিসংঘ ‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ’ নাটোরে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, ৪ বন্ধু আটক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী এডিটরস ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত

নারীনেত্রী হওয়ায় বারবার হত্যাচেষ্টার মুখে পড়েছেন শেখ হাসিনা : হাইকোর্ট

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : শেখ হাসিনা নারীনেত্রী হওয়ার কারণেই বারবার জঙ্গিদের এমন হত্যাচেষ্টার মুখে পড়তে হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় সমাবেশস্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রেখে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্ট থেকে প্রকাশিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ৮৬ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে রায় প্রদানকারী বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান রায়ে স্বাক্ষর করেন।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতিদ্বয় সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন। ৮৬ পৃষ্ঠার রায়টি বাংলায় প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত রোববার এ রায়ের অনুলিপি জমা দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, ওই মামলার রায় লেখা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় (৭৬ কেজি ওজনের বোমা মামলা হিসেবে পরিচিত) ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ে নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেয়া হয়। ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স ও কারাবন্দি আসামিদের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা আসামিরা হলেন- ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে শিমন খান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবদুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর। এছাড়া মেহেদি হাসান ওরফে গাজী খান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন এবং আনিসুল ওরফে আনিস ও মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানকে দেয়া ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

তবে কারাবন্দি এই দুজনের এরইমধ্যে সাজাভোগ করা হয়ে গেলে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেয়া হয়েছে। হরকাতুল জেহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান মামলাটিতে মূল আসামি ছিলেন। কিন্তু অন্য মামলায় এই জঙ্গি নেতার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজ মাঠে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কোটালিপাড়া থানায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩৪ জন। অন্য মামলায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলার রায়ে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের জুন মাসে অধিকতর তদন্ত করে আরও নয়জনকে অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হয়। তখন মামলাটি পাঠানো হয় ঢাকা-২ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। সেই ট্রাইব্যুনালে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শেষ করে রায় দেয়া হয়। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে গুলি করে তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়। এরপর হাইকোর্টে রায় গেলে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। গতকাল সোমবার সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হলো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris