মঙ্গলবার

২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার রাসিককে সুদৃঢ় আর্থিক ভিত্তির উপর দাঁড় করতে চাই : মেয়র কাতারের আমির আসছেন আজ, সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার দখলের সুযোগ বালিশকাণ্ডের সেই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে রাবির হল, অনিয়মের অভিযোগে দুদকের হানা/৩

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিএ্যান্ডএফ’র কমিটি নিয়ে দ্বন্দ, শঙ্কায় আমদানিকারকরা

Paris
Update : সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এক যুগ পর সিএ্যান্ডএফ সদস্যদের প্রতক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় নতুন কমিটি। কিন্তু গণতান্ত্রিক উপায়ে কার্যকরী কমিটি নির্বাচনের ৯ মাস পরেই দেখা দেয় নানা জটিলতা। নির্বাচিত কমিটি থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও সিএ্যান্ডএফ সদস্যের বিরোধে বর্তমানে দুটি কমিটি নিজেদের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি বলে দাবি করছেন। নতুন কমিটির ৯ মাস মেয়াদ চলাকালীন সময়ে গত মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে আরেকটি নতুন কমিটি শপথ নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে আমদানি-রফতানিকারকদের মনে। তারা বলছেন, দীর্ঘ এক যুগ পর নির্বাচন হওয়ায় স্বস্তি ছিল তাদের মনে। এতে আমদানি-রফতানিও বেড়েছে। তবে আবারও আগের মতো অগণতান্ত্রিক উপায়ে কোন কার্যকরী কমিটি থাকলে নিজেদের ব্যবসায় নৈতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য তাদের। তারা জানান, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ছেড়ে অন্য বন্দরে পন্য আমদানি-রফতানি শুরু করবে ব্যবসায়ীরা। এতে রাজস্ব আদায় কমে যাবে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে। মঙ্গলবার (০৩ আগষ্ট) দুপুরে স্থানীয় সাংসদসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সম্মেলন কক্ষে সভা করেন।

এতে উপস্থিত আ.লীগ নেতৃবৃন্দ ও সংসদ সদস্য সরকারের ক্রমবর্ধমান রাজস্ব আদায়কে অব্যাহত রাখতে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নতুন আরেকটি কমিটি শপথ ও দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন৷ এই মূহুর্তে দুই পক্ষই নিজেদের কার্যকরী কমিটি দাবি করায় সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। নির্বাচনে জয়লাভ করে গত ৯ মাস দায়িত্ব পালন করা কার্যকরী কমিটির দাবি, গণতান্ত্রিক উপায়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর সিএ্যান্ডএফ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তারা দায়িত্ব পালন করছেন৷

কিন্তু হঠাৎ করে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় কোন নির্বাচন ছাড়াই কিছু লোক নিজেদের নতুন কমিটি বলে দাবি করছে। আমাদের গণতান্ত্রিক উপায়ে হওয়া কমিটি বাতিল না হলে ও নতুন করে নির্বাচন না হলে কি করে এই কমিটি হয়? অন্যদিকে মঙ্গলবার (০৩ আগষ্ট) শপথ নেয়া কমিটির দাবি, নির্বাচন হলেও তা নিয়ম-নীতি ও আইন-কানুন অনুসরণ করে হয়নি। ফলে তারা অবৈধ। এমনকি শ্রম অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, সেই কমিটি বিলুপ্ত করে আমাদেরকে নির্বাচন আয়োজন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এনিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আমদানিকারক বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বিভিন্ন রাজনৈতিক কোন্দলের ফল এটি। দীর্ঘ এক যুগ পর একটি নির্বাচন হয়ে দায়িত্ব নেই নতুন কমিটি। কিন্তু এরপরই সেই নতুন কমিটিকে অবৈধ করতে কাজ শুরু করে আরেকটি পক্ষ। এমনকি সেই কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা চমলান থাকলেও, মঙ্গলবার আরেকটি পক্ষ নতুন কমিটি গঠন করে শপথ নিয়েছে বলে শুনেছি৷ এভাবে বিরোধ চলতে থাকলে দেশের আমদানিকারকদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের আমদানিকারকরা বিভিন্নভাবে ভারতীয় রফতানিকারকদের কাছে হয়রানির শিকার হয়।

যেমন, বছরখানেক আগেও পাথরের ট্রাকে মাটি ও কাঁদাসহ পাঠাতো। তারপরও সেগুলোই বাধ্য হয়েই আমাদেরকে নিতে হতো। সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি দক্ষ ও পেশাদার হলে এর প্রতিবাদ করে নিজেদের স্বার্থ আদায় করতে সক্ষম হয়। কিন্তু অগণতান্ত্রিক উপায়ে বছরের পর বছর কোন কমিটি না থাকলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সর্বোপরী তা রাজস্ব আদায়েও প্রভাব পড়। একজন সাধারণ সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট জানান, দীর্ঘ ১২ বছর কোন নির্বাচন ছিলো না। অনেক চড়ায়-উৎরায় পেরিয়ে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করে। দায়িত্ব গ্রহণের পরই রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পায়। এমনকি রাজস্ব আদায়ে গত ২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে যায়। কিন্তু সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অনির্বাচিত প্রতিনিধি আসলে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হবে এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম বলেন, স্থলবন্দরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজস্ব আদায়ে ভূমিকা রাখে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কমিটি। দীর্ঘদিন থেকে কমিটি না থাকায় না বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল সোনামসজিদ স্থলবন্দরে। ফলে অনেক আমদানিকারক এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছিল। এক যুগ পর নির্বাচনে কিছুটা স্বস্তি পায় আমদানিকারকরা। কিন্তু নির্বাচন হওয়ার পরেও দুটি পক্ষ নিজেদের কমিটি বলে দাবি করছে। ফলে আবারও নানা শঙ্কা তৈরি হয়েছে আমদানিকারকদের মনে। ০৩ আগষ্ট দায়িত্ব নেয়া সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যকরী কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ বলেন, ২০৭ জন ভোটারের মধ্যে মাত্র ৯৬ জন সদস্য নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচন হয়।

এনমকি নির্বাচনে কারচুপিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের আওতায় শ্রম অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম দপ্তর নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়ম পর্যালোচনা করে সেই কমিটিকে বাতিল করে। গতবছরের ০৬ ডিসেম্বর এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে শ্রম দপ্তর। এছাড়াও শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করে সাধারণ সভা ও নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সাধারণ সভার আয়োজন করে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর গঠিত সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সভাপতি আব্দুল আওয়াল বলেন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য,

গণমাধ্যমকর্মীরা গতবছরের ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। এমনকি পরেরদিন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রচার করে। নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব নেয়ার পর স্থলবন্দরের আমরা উন্নয়নে কাজ শুরু করি। তিনি আরও দাবি করেন, নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর দেশের অন্যান্য বন্দরে থাকা ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ফলে গত ২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয় গত অর্থবছরে। কিন্তু এই সাফল্যে ইর্ষান্নিত হয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে কোনরকম নির্বাচন ছাড়াই হঠাৎ করে নিজেদেরকে সিএ্যান্ডএফ-এর কমিটি দাবি করছে একটি কুচক্রী মহল।

স্থলবন্দরকে অশান্ত করতে লাইসেন্সবিহীন সদস্যরা এমন পায়তারা করছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস-এর সহকারী কমিশনার মমিনুল ইসলাম জানান, গতবছরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর আমি যোগদান করেছি। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের নানামুখী আধুনিক যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিকল্পনা ও আমদানি-রফতানিকারকদের সহযোগিতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭০৭ কোটি ৮০ লাখ ৬ হাজার টাকা। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির মধ্যেও যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৪ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি। তিনি আরও জানান, এই অর্জনে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

যোগদানের পর শুনেছি দীর্ঘ ১২ বছর পর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার (০৩ আগষ্ট) বিকেলে আমার অফিসে আরেকটি পক্ষ নিজেদের কমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে আসে। সিএ্যান্ডএফ-এর কমিটি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের করনীয় কিছু নেই। তবে এমন পরিস্থিতিতে আমদানি-রফতানির কারনে রাজস্ব আদায়ে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে জানান তিনি। সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচলনা কমিটির সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব-আল-রাব্বী বলেন, সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের নির্বাচন ও কমিটি গঠন হবে। এতে আমাদের করনীয় কিছু নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ক্রমবর্ধমান রাজস্ব আদায় ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে করনীয় সবকিছু করা হবে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কর্মকান্ড করতে দেয়া হবে না। বন্দর সংশ্লিষ্ট ও উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭০৭ কোটি ৮০ লাখ ৬ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭৩ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির মধ্যেও যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৪ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২১৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯ হাজার টাকা। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮৮ কোটি ৮৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা রাজস্ব বেশি আয় হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris