শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চারঘাটে বেতন-বোনাস নিয়ে শঙ্কায় শিক্ষকরা

Paris
Update : রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ও বোনাস না পাওয়ায় শঙ্কায় এবার ঈদ আনন্দ মাটি হতে চলেছে তাদের পরিবারের। জানা গেছে, এ উপজেলার ৭৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২৯ জন শিক্ষক এবার ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাদের জুন মাসের বেতন একই সঙ্গে আসন্ন কোরবানীর ঈদের উৎসব বোনাস পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সংক্রান্ত অপশন আইবাস প্লাস প্লাস সফটওয়ারে সংযুক্ত করা হয়। এরপর জেলা, উপজেলা ও ডিডিও আইডি থেকে বেতন নির্ধারণের সুযোগ প্রদান করা হয়। গত ২৮ শে এপ্রিল ছিল ১৩ তম গ্রেড সংযোজন করার শেষ সময়। কিন্তু চারঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিস উন্নীত স্কেলে সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ সম্পন্ন করেনি। এর ফলে শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ে বেতন ও ঈদ বোনাস পাইনি।

এদিকে, বেতন এবং ঈদে উৎসব বোনাস না পাবার শঙ্কায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা। তারা বিষয়টি দ্রত সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছেন। একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে বলেন, অধিকাংশ শিক্ষকই বেতনের উপর নির্ভরশীল। তারা যদি ঠিকমত বেতন না পান তাহলে এই লকডাউনে সংসার চলবে কী করে। তাছাড়া ক’দিন পরেই তো ঈদ সেই বোনাসও বন্ধ থাকবে তাহলে চলবে কী করে?

উপজেলা শিক্ষা অফিস ও শিক্ষক সমিতির এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজে শিক্ষকরা হয়রানী হবেন তা কেন হতে হবে। আমরা কোন ধরণের ঝামেলা পোহাতে চাই না। আমরা ঈদের আগেই বেতন বোনাস চাই এমনটা দাবি করেছেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে চারঘাট শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষন মাহবুবা খাতুন বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের কারনে ১৩ তম গ্রেডের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়নি। তবে এখন আমাদের শিক্ষা অফিসের কাজ শেষ।

হিসাব রক্ষন অফিসের কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে ঈদের আগেই সবকিছু স্বাভাবিক হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, জেলায় শুধুমাত্র চারঘাটের শিক্ষকরাই এখনো বেতন ও বোনাস পায়নি। তবে এতে সমিতির কোনো গাফলতি করেনি। আমার চেষ্টা করেছি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে তারপরও শেষ হয়নি।

তবে ঈদের আগে শিক্ষকরা যেনো বেতন ও বোনাস পায় সেজন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মিরাজুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের জেদের কারনে এখনো বেতন ও ঈদ বোনাস তারা পায়নি। ১৩ তম গ্রেডে বেতন বোনাস নিলে ঈদের আগে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে পূর্বের গ্রেডে নিলে শিক্ষকরা ইচ্ছে করলে যেকোনো সময় বেতন বোনাস নিতে পারে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris