এফএনএস : পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম আবদুল আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ কে এম আবদুল আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের পক্ষে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওই দম্পতির পক্ষে আজ শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করার পর সেটি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চেই শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন।’ গত ২৫ মে ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ বাতিল চেয়ে আউয়াল দম্পতির করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
ফলে আউয়াল দম্পতির নামে থাকা ১৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ বহালই ছিল। এ অবস্থায় নতুন করে আউয়াল দম্পতি আবারও আবেদন করেন। আউয়াল দম্পতির বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুদকে দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ করা হয়েছে।
আর তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ দুটি মামলায় দুদকের আবেদনে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত গত ১৭ জানুয়ারি এক আদেশে আউয়াল দম্পতির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
আর সেটি নিয়ে আবারও আবেদন করতে যাচ্ছেন তারা। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর আউয়াল দম্পতির বিরুদ্ধে বরিশালে তিনটি মামলা করে দুদক। তিনটি মধ্যে দুটিতে আউয়াল ও একটিতে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়। এ কে এম আবদুল আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে টানা দুইবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।