বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা’র ৫ম প্রকল্পের ‘গ্রীন ছায়েরা মঞ্জিল’ এর শুভ উদ্বোধন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার

মার্কিন ও ইসরায়েল মিত্রতা’র ঐতিহাসিক-রাজনৈতিক কারণ

Paris
Update : রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

এফএনএস : ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে গাজা উপত্যকায়। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। কিন্তু এরপরও যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের কোন নিন্দা জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের এই মিত্রতার রয়েছে নানা ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণ। এ ছাড়া ইসরায়েলের কৌশলগত নানা পদক্ষেপের কারণেও বরাবরই দেশটির পক্ষে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতের মধ্যে গেল সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার অধিকার আছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিরাপত্তা পরিষদেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাবে বরাবরই ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই মিত্রতা’র রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের ইহুদিদের ওপর স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালায় হিটলার। প্রচণ্ড বিদ্বেষের কারণে বাস্তচ্যুত হয় লাখ লাখ ইহুদি। স্বাভাবিকভাবেই ইহুদিদের প্রতি সমবেদনা ছিল মার্কিনিদের। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর দেশটিকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাশক্তি হিসেবে উত্থান হয় যুক্তরাষ্ট্রের। প্রতিপক্ষ রাশিয়া। স্নায়ুযুদ্ধের শুরুর দিকে বিপুল জ¦ালানী এবং কৌশলগত নৌপথের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে মিশর, সিরিয়া এবং জর্ডানকে মাত্র ৬ দিনেই পরাজিত করে ইসরায়েল।

সামরিক ক্ষমতার কারণে খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের জায়গা নিয়ে নেয় ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার প্রভাব ঠেকাতে এবং সিরিয়া ও মিশরের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে কৌশলগত ভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে আরও জোরালো হয় এই সমর্থন। উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটিকে প্রতিবছর ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা এবং ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইসরায়েলকে বরাবরই সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৬ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ইসরায়েলের সঙ্গে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। এই চুক্তির আওতায় স্থাপন করা হয় ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এমনকি চলমান সংঘাতের ঠিক এক সপ্তাহ আগে গেল ৫ই মে ইসরায়েলকে ৭শ ৩৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় বাইডেন প্রশাসন। ইসরায়েলের পক্ষে মার্কিনিদের অবস্থানের একটি বড় কারণ তাদের ফিলিস্তিনবিরোধী প্রচারণা এবং জনসংযোগ কার্যক্রম। মার্কিনিদের সমর্থন আদায়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি।

ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে তারা, যার নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। উপস্থিত থাকেন মার্কিন রজনীতিবিদরাও। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার অভিযানে লাখ লাখ ডলার অনুদান দেয় ইসরায়েলপন্থী বিভিন্ন সংগঠন। একারণে দল ভিন্ন হলেও ইসরায়েলের পক্ষেই সাফাই গান মার্কিন আইনপ্রণেতারা। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৩১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয় ইসরায়েলপন্থী সংগঠনগুলো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris