বৃহস্পতিবার

২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চীনে জনংসংখ্যা কমেছে!

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : চীন পাঁচ দশেকর মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা হ্রাসের কথা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, দেশটির আদমশুমারিতে জড়িত একটি সূত্রের উল্লেখ করে মঙ্গলবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সর্বশেষ জনসংখ্যা গণনার ভিত্তিতে এই তথ্য জানা গেছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। চীনে প্রতি এক দশকে একবার জনসংখ্যা গণনা করা হয়। গত বছরের শেষে পরিচালিত হলেও এই আদমশুমারির ফল এখনও প্রকাশ করেনি দেশটির দ্য ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (এনবিএস)।

রয়টার্সের কাছে অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি সংস্থাটি। সূত্রের বরাত দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, জনসংখ্যার এসব পরিসংখ্যান খুবই সংবেদনশীল এবং এ নিয়ে সরকারের দপ্তরগুলো একমত না হওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হবে না। জনসংখ্যার তথ্য ঘোষণায় দেরি করার বিষয়ে এনবিএস কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও এ মাসেই জানানো হয়, প্রস্তুতিমূলক আরও কাজ করতে হবে। শেনজেন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিউয়েই ঝাঙ বলেন, “চীন যদি এমন হ্রাস নিশ্চিত করে তবে তা হবে অনেক বড় ব্যাপার।

“জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজার এবং নীতিনির্ধারকরা যা প্রত্যাশা করেছিলেন তার অনেক আগেই এটা হতে পারে।” সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছিল, আগামী কয়েক বছরে জনসংখ্যা কমে আসতে পারে। জনসংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে চীন কয়েক দশক ধরে চলা এক সন্তান নীতি বাতিল করে দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করে। এ সময় ২০১০ সালে নির্ধারণ করা ১৩৪ কোটির বদলে ২০২০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বাড়িয়ে একশ ৪২ কোটি করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়।

কিন্তু দেশটিতে জন্মহার কমতেই থাকে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরের দম্পতিরা বিশেষ করে ১৯৯০ সালের পর যাদের জন্ম হয়েছে, তারা পরিবারের চেয়ে ক্যারিয়ার এবং স্বাধীনতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণই এর জন্য অনেকটা দায়ী। প্রধান নগরগুলোতে জীবনযাত্রার খরচ এবং সেখানে বিপুল জনসংখ্যার বিপরীতে শিশু জন্মহার বেশি হওয়ার কারণেও দম্পতিরা সন্তান নিতে অনাগ্রহী হয়ে ওঠেন। অর্থনীতিবিদ ঝাঙ বলেন, “জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি সম্পূর্ণভাবেই শিথিল করতে পারে চীন এবং দ্রুত অবসরে যাওয়ার বয়স সীমা তুলে নিতে পারে।”

পতনশীল জন্মহার কর্মক্ষম জনসংখ্যার ওপর চাপ তৈরি করবে এবং উৎপাদনশীলতার ওপর আঘাত হানবে। ঝাঙ বলেন, “আদমশুমারির আগের তথ্য অনুযায়ী আমাদের অনুমানগুলোতে দেখা গেছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর জনশক্তি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমে আসবে। তার প্রভাব পড়বে জিডিপিতে। “ধীরগতির প্রবৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সাথে পেরে উঠা কঠিন হয়ে পড়বে। এর ফলে চীনের আন্তর্জাতিক অবস্থানের ওপরও অপ্রতিরোধ্য একটি প্রভাব পড়তে পারে।”


আরোও অন্যান্য খবর
Paris