শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে রোজার মাসে পাকিস্তানে বেড়েছে মদের দাম

Paris
Update : সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : মহামারি করোনায় বিভিন্ন দেশে মানুষের মধ্যে মদ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বেড়েছে পাকিস্তানেও। যদিও দেশটিতে মুসলিমদের মদ কেনা আইনত নিষিদ্ধ হলেও রোজার মাসেই মদ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও। করোনার ফলে মদের সরবরাহ কমেছে। আইনি পথে বা কালোবাজারে মদের জোগান কম। তার ফলে দাম অনেক বেড়েছে। দেশটিতে যাদের কাছে অর্থ আছে, তারা চড়া দামে কালোবাজার থেকে মদ কেনেন। যাদের আয় কম, তারা কম দামের মদ কেনার দিকে ঝোঁকেন। পাকিস্তানে ১৯৭৭ থেকে অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রিত।

তখন জুলফিকার আলি ভুট্টোর সরকার মদ নিষিদ্ধ করে আইন পাস করে। শুধু কিছু বার ও ক্লাবে মদ পাওয়া যেত। পরে ১৯৭৯ সালে জেনারেল জিয়া উল হকের শাসনে ঘোষণা করা হয়, মদ খাওয়া ইসলাম-বিরোধী। মুসলিমদের কাছে মদ বিক্রি করা হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেন তিনি। তবে কিছু অঞ্চলে অ-মুসলিমদের জন্য মদের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়। প্রচুর কর দিয়ে কয়েকটি অঞ্চলে অ-মুসলিমরা এই দোকান চালাতে পারে। পাকিস্তানের সব চেয়ে জনবহুল শহর হলো করাচি। সেখানে একটি মদের দোকানে কাজ করেন হিন্দু যুবক রাহুল।

সেখানে যারা মুসলিম নন, তাদের কাছে মদ বিক্রি করা যেতে পারে। তবে রাহুল জানিয়েছেন, তাকে অর্থ দিলেই তিনি মদ দেন। তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টানদের অনেকেই মদ খান। কার ধর্ম কী তা দেখা আমার কাজ নয়। তবে আমাকে সতর্ক থাকতে হয়। তার মতে, এই ব্যবসায় সতর্ক না হলে যে কেউ বিপদে ফেলে দিতে পারে। মুসলিম ক্রেতারা কালোবাজার থেকেই মদ কেনেন। অনুমোদিত মদের দোকানে তাও দাম নিয়ন্ত্রিত থাকে।

বাকি পাকিস্তানে কালোবাজারে করোনার সময় মদের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ৩৭ বছর বয়সী পাকিস্তানি গায়ক ওমর বলেন, গত বছর পর্যন্ত আমি অন্যান্যের সঙ্গে বসে মদ খেতাম। এখন রোজ একা খাই। তার অভিমত, পাকিস্তানে যারা মদ খান, সামাজিক কারণে তারা নিজেদের বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। ওমর জানিেেয়্ছন, ২০২০ সালের লকডাউনের পর থেকে বিয়ার এবং মদের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছিল। এখন তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। আগে স্থানীয় ভদকার বোতল পাওয়া যেত সাতশ টাকায়। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৬৫০ টাকা। সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরোও অন্যান্য খবর
Paris