শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছেড়ে গেছে রিয়াদগামী বিশেষ ফ্লাইট

Paris
Update : সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : প্রবাসী কর্মীদের জন্য সৌদি আরবে ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি মেলায় গতকাল রোববার সকালে রিয়াদের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বিশেষ ফ্লাইট। জেদ্দায় আগে থেকে অনুমোদন থাকলেও রিয়াদ ও দাম্মামে পৃথকভাবে অনুমোদনের দরকার হয়। এর পাশাপাশি ওমানের মাসকাটে ও দুবাইয়ে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বিশেষ ফ্লাইটের। এর আগে রিয়াদগামী ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি না পাওয়া এবং দাম্মাম ও দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় ফ্লাইটগুলো বাতিল করে বিমান। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পাশাপাশি সৌদি এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইটের অনেক যাত্রীকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। গত শনিবার বাতিল করা বিভিন্ন ফ্লাইটের যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়।

পাশাপাশি অন্যান্য ফ্লাইটের ক্ষেত্রেও গতকাল টিকেট দেওয়া হয়েছে। এর আগে আটকেপড়া সৌদিপ্রবাসী যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনার আশ্বাস দেয় সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। হোটেল সোনারগাঁয়ে সৌদিয়া কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারী সৌদী প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক (বুকিং অ্যান্ড সেলস) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আগামীকাল (রোববার) থেকে ফ্লাইট দেওয়ার।’ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে দেশে। এই লকডাউনের মধ্যে প্রবাসীকর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

গত শনিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই কার্যক্রম প্রথম দিনেই মুখ থুবড়ে পড়ে। গত শনিবার সাতটি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এদিকে, ফ্লাইট বাতিলের তথ্য আগাম না জানানোয় শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে যাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিশেষ ফ্লাইট শুরু হওয়ার খবরে জীবিকার তাগিদে টিকেট সংগ্রহ, করোনা পরীক্ষা, গাড়ি ভাড়া করে লকডাউনের মধ্যে নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যাত্রীরা বিমানবন্দরে এসে জানতে পারেন ফ্লাইট বাতিল। আগাম কোনো তথ্য না জানানোয় যাত্রীদের ক্লান্তি আর ভোগান্তি তখন চরমে পৌঁছায়।

পরে তা রূপ নেয় বিক্ষোভে। গত শনিবার ভোরের রিয়াদগামী ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি না পাওয়া এবং দাম্মাম ও দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটে পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকায় ফ্লাইটগুলো বাতিল করে বিমান। এরপর দুপুর থেকে বিশেষ ফ্লাইট বাতিলের খবরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সৌদি এয়ারলাইন্সের কাউন্টারের সামনে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। বিশেষ করে সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা সেখানে ভিড় করেন। জানা গেছে, যাত্রীদের বেশিরভাগই সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। সৌদিতে ফেরার জন্য তাঁরা বিভিন্ন তারিখে টিকেট কেটে রেখেছিলেন।

ফ্লাইটের দিন পার হয়ে যাওয়ায় ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসার কারণে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। এর আগে গত শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকার প্রধান সড়ক অবরোধ করেন প্রবাসীরা। এ সময় তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি। প্রবাসীদের সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সরকার প্রবাসীকর্মীদের বিদেশে যাওয়ার জন্য গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে পাঁচটি দেশে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেয়। এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। শুধু প্রবাসীকর্মীরা এসব ফ্লাইটে যেতে পারবেন।

আর দেশে এলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে প্রবাসী কর্মীদের। পাঁচ দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ১২টি এয়ারলাইন্সকে অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই ১২টি এয়ারলাইনস হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি, ফ্লাই দুবাই ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris