বৃহস্পতিবার

২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সুরিয়া-জ্যোতিকার প্রেমের গল্প রূপকথার চেয়ে কম নয়

Paris
Update : সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

এফএনএস : পুরো নাম সারাবানাম শিবাকুমার। তবে তামিল সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় এই অভিনেতা ভক্তদের কাছে সুরিয়া নামেই পরিচিত। তার এই নামটি দিয়েছেন গুণী নির্মাতা মনি রত্নম। বর্ষীয়ান তামিল অভিনেতা শিবাকুমারের ছেলে সুরিয়া। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ও অভিনয় গুণে দক্ষিণী সিনেমার ভক্তদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকাকে বিয়ের করেছেন। তাদের প্রেমের গল্প কোনো রূপকথার চেয়ে কম নয়। এই জুটির প্রেম, বিয়ে ও ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের গল্প নিয়ে এই প্রতিবেদন। ‘নেরুক্কু নের’ সিনেমার মাধ্যমে সুরিয়ার সিনেমা জগতে অভিষেক হয়। এই সিনেমা প্রযোজনা করেন মনি রত্নম।

কিন্তু শুরুর দিকে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। এরইমধ্যে ১৯৯৯ সালে ‘পুভেল্লাম কেট্টুপার’ সিনেমার শুটিংয়ে জ্যোতিকার সঙ্গে সুরিয়ার প্রথম দেখা। সেই সময় দুজনই তেমন বড় তারকা হননি। অন্যদিকে মুম্বাইয়ে বড় হওয়ায় তামিল ভাষাও খুব একটা জানতেন না জ্যোতিকা। সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পরবর্তী সময়ে তামিল ভাষা শেখেন। কাজের প্রতি এই অভিনেত্রীর আত্মত্যাগ, সংলাপ বলার ধরন, সহকর্মীদের প্রতি বিনয় সুরিয়াকে খুব আকর্ষণ করে। ধীরে ধীরে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে শুরু করেন জ্যোতিকা এবং বড় তারকা হয়ে ওঠেন। ২০০১ সালের ঘটনা। জ্যোতিকার শুটিং সেটের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সুরিয়া। তাকে দেখে সহকারীর মাধ্যমে এই অভিনেতাকে ডাকেন। সেখানে তাদের অনেক কথা হয় এবং ধীরে ধীরে ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন।

এরপর সুরিয়ার বিভিন্ন পার্টিতে নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন জ্যোতিকা। ২০০১ সালে সুরিয়া অভিনীত ‘নন্দ’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এই সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হয়েছিলেন জ্যোতিকা। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে তার পরবর্তী সিনেমা ‘কাখা কাখা’-তে (পরবর্তী সময়ে ফোর্স নামে হিন্দি রিমেক হয়) নেওয়ার জন্য পরিচালক গৌতম মেননকে অনুরোধ করেন এই অভিনেত্রী। সিনেমাটির সেটেই পরস্পরের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সিনেমার শুটিং শেষেই বাগদানের পরিকল্পনা করেন তারা। অনেকটা গোপনেই বাগদান সারেন। এর কারণে প্রসঙ্গে জানা যায়, জ্যোতিকার সঙ্গে তার প্রেমের বিষয়টি মা-বাবাকে রাজি করানোর জন্য সময় চাইছিলেন সুরিয়া। এরপর ‘কাখা কাখা’ সিনেমাটি মুক্তি পাই। বক্স অফিসে সুপারহিট তকমা পায় এটি। বেশ কয়েকটি রেকর্ডও ভাঙে। অন্যদিকে, সুরিয়া-জ্যোতিকার প্রেমও দিন দিন গভীর হতে থাকে। ২০০৬ সাল, প্রেমের সম্পর্ককে পরের ধাপে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুরিয়া ও জ্যোতিকা।

১০ সেপ্টেম্বর তাদের মেহেদি অনুষ্ঠান হয়। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের পার্ক শেরাটন হোটেলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন এই তারকা জুটি। তামিল সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নামি দামি তারকারা এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেন জ্যোতিকা। এরপর মুম্বাই থেকে চেন্নাইয়ে বসবাস শুরু করেন। ২০০৭ সালে তাদের প্রথম সন্তাদের জন্ম হয়। তারা মেয়ের নাম রাখেন দিয়া। এরপর ২০১০ সালে তাদের ছেলে দেবের জন্ম হয়। জ্যোতিকা জানান, প্রায়ই সুরিয়াকে প্রায়ই গান গেয়ে শোনান তিনি। অন্যদিকে এই অভিনেতাও তাকে তামিল গান শোনান। সিনেমার পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান সুরিয়া। বিয়ের এক যুগ পার করেছেন। এখনো সুখেই কাটছে তাদের সংসার।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris