বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা’র ৫ম প্রকল্পের ‘গ্রীন ছায়েরা মঞ্জিল’ এর শুভ উদ্বোধন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার

মহানগরীতে দোকানভরা ফুলের সমাহারেও আকাশ ছোঁয়া দাম!

Paris
Update : রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : আজ পহেলা ফাল্গুন। বাংলা সনের এই মাসটি বাঙালির কাছে বসন্ত নামেই বেশি পরিচিত। দেশের প্রায় সকল স্থানেই বসন্ত বরণ উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। তবে, করোনাকালীন সময়ে সেই অনাড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন নাও হতে পাওে বলে জানান বিভিন্ন সংগঠণের নতো-কর্মী ও সদস্যরা। বাংলার বসন্ত উৎসবের পাশাপাশি আজ আরো একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে মেতে উঠবে অনেকেই। আর সেটি হচ্ছে; বিশ্ব ভালবাসা দিবস। দেশের তরুণ-তরুণীরা সহ যুবক যুবতীদেও মাঝে এই এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করার প্রবণতাটি বিগত কয়েক বছর ধরে অনেকটাই চোঁখে পড়ার মতো। করোনা ভাইরাসের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকার কারণে এবং দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে বিগত সময়গুলোর চাইতে এবারের বসন্তবরণ অনুষ্ঠান ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস পূর্বের ন্যায় পালিত হবেনা বলেই ধারণা নগরীর সচেতন মহলের।

কিন্তু আয়োজন যত ছোট কিংবা বড় পরিসরেই হোকনা কেনো; উভয় দিবসকে ঘিরে ভালবাসার মানুষকে যেনো ফুল দিতে ভুল করবে না উৎযাপনকারীরা। যার জন্য আজকের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসটিকে ঘিরে নগরীর ফুল ব্যবসায়িরা নিজেদেও প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছেন গতকাল শনিবার সকাল থেকেই। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারেও ফুলের সংগ্রহ ও মজুদ রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বলে জানান নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টসহ অন্যান্য স্থানের ফুল ব্যবসায়িরা। তবে গেল বছরের তুলনায় এবার ফুলের দামটা অনেকটাই বেশি বলে মন্তব্য ফুল ক্রেতাদের। বিষয়টির সত্যতাও স্বীকার করেন ফুল ব্যবসায়িরা। তবে, দাম বেশি হলেও বিক্রির মার্জিন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম বলে জানান, জিরো পয়েন্টের ফুল ব্যবসায়ি টনি, গণেষ ও সুইটের।

বসন্তবরণ উৎসব আর ভ্যালেন্টাইন দিবসকে সামনে রেখে নগরীর ফুলের দোকানগুলোতে দেশি লাল গোলাপ ছাড়াও, থাইল্যান্ড, চিন ও ভারত থেকে আমদানি করা গোলাপের পাশাপাশি ব্যবসায়িরা নিজেদের দোকানে মজুদ করেছেন জারবেরা, রজনীগন্ধা, গ্যাদা, ক্যারোডিয়াস ও পলাশ ফুলসহ আরো রয়েছে আর্টিফিসিয়াল ফুলের মালা। লাল গোলাপ ফুলের দাম হাকা হচ্ছে সর্বনিম্ন ত্রিশ টাকা থেকে একশ টাকা পর্যন্ত। আর হলুদ, সাদা, গোলাপী ফুলের দাম লাল গোলাপের চাইতে আরো কিছুটা বেশি। অন্যদিকে, জারবেরা ফুলের প্রতিটি স্টিক বিক্রি হচ্ছে ত্রিশ টাকা করে। রজনীগন্ধা ফুলের প্রতিটি স্টিক বিক্রি হচ্ছে পনের টাকা করে। ক্যালোডিয়াস ফুলের একটি স্টিক বিক্রি হচ্ছে ত্রিশ টাকা করে। দেশী গেদা ফুলের মাঝিারি আকৃতির একটি মালা বিক্রি হচ্ছে একশ থেকে দেড়শ টাকায়। আর অন্যদিকে, আর্টিফিসিয়ালি ফুলের তৈরি মাথার ব্যান্ড বিক্রি হচ্ছে এশত পঞ্চাশ টাকায় বলে জানান নগরীর ফুল ব্যবসায়িরা।

নগরীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঐশি ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশমি জানান, প্রতিবছরই তারা ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’-তে ফুল কেনেন। তবে’ বিগত সময়গুলোর চাইতে এবার ফুলের দামটা অনেকটাই বেশি। উপশহর ও ভদ্রাস্থ পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা জিলিয়া-রাজন ও সৌমীক ছাড়াও বাজাওে আসা অনেক ফুলের ক্রেতা বলেন, সাধারণ সময়গুলোতে লাল গোলাপ বিক্রি হতো দশ থেকে ত্রিশ টাকার মধ্যে। কিন্তু দুটো দিবসকে সামনে রেখে ফুলের দাম যেনো আকাশ ছোয়া। এছাড়াও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে জারবেরা, রজনীগন্ধা, গ্যাদা, ক্যারোডিয়াসসহ আর্টিফিসিয়াল ফুলেরও বলে মন্তব্য ক্রেতাদের। পলাশ ফুলের ছোট্ট একটি স্টিকের দাম ধরা হচ্ছে পঞ্চাশ টাকা করে।

এদিকে নগরীর ফুল ব্যবসায়িরা পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান, যশোর জেলার গাতখালি এলাকা থেকে নগরীর অধিকাংশ ব্যবসায়ির কাছে ফুলের চালান আসে। এছাড়াও নগরীর উপকন্ঠ থেকে আসে যৎসামান্য ফুলের একটি চালান। ফুল ব্যবসায়িদেও কাছে ফুলের মজুদ যথেষ্ট পরিমাণে থাকার পরেও কেনো ফুলের দাম এতোবেশি প্রশোনর জবাবে ফুল ব্যবসায়ি টনি জানান, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আরম্ভ হবে পর থেকে তাদেও ফুলের ব্যবসাতে তখন থেকেই নেমেছে ধ্বস। প্রতিদিনের চাইতে ভ্যালেন্টাইন ডে ও বসন্তবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করেও নেই তেমন কোন ক্রেতার আনাগোনা। পূর্ববর্তী সময়গুলোতে বিশেষ দিবসের আগের দিনে সকাল থেকেই ফুলের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এবার নেই তার ছিঁটে ফোটাও বলে মন্তব্য বিক্রেতাদের।

তাছাড়াও করোনার থাবাও লেগেছে ফুল চাষিদের উপর। করোনাকালীন সময়ে চাষিদের গুণতে হয়েছে লোকসানের বিষয়টি। এছাড়াও পূর্বেও চাইতে লেবার খরচও বেশি। যার কারণে এবার ফুলের দামটাও পূর্ববর্তী সময়ের চাইতে কিছুটা বেশি বলে জানান নগরীর ফুল ব্যবসায়িরা। তবে, রাজশাহী নগরীতে কিংবা এর উপকন্ঠ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ করা হলে একদিকে ফুলের সরবরাহ পাবে বৃদ্ধি আর অন্যদিকে, কম মূল্যে ক্রেতারাও পাবেন টাটকা ও সতেজ ফুল কেনার সুযোগ বলে মন্তব্য ব্যবসায়ি টনি, গণেষ ও সুইটসহ অন্যান্যদের। ফুলের চাহিদা যথেষ্ট পরিমাণে থাকার কারণে ফুলের বাণিজ্যিক চাষাবাদ আশার মুখ দেখতে পারে বলে আশার কথা শুনালেন ফুল ব্যবসায়িরা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris