শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৭ দিন বন্ধ তীব্র তাপদাহে রাজশাহীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাইমারি স্কুলে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে : জাতিসংঘ রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ধামুইরহাটে ভূয়া সিআইডি গ্রেফতার রাজশাহীতে বিভাগীয় পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত স্ত্রীকে কারাদণ্ড দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ইমরান খানের হুমকি

মহানগরীর সড়ক সংকেত নিজেই দূর্ঘটনায় পতিত রাস্তার পাশে কর্তনকৃত গাছ যেনো বিপদ সংকেত!

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। সড়ক দূর্ঘটনার জন্য চালকের বেপেরয়া গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, দক্ষ চালকের অভাব, অতিরিক্ত গতি, ভুল ওভারটেকিংসহ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণগুলোকেই চিহ্নিত করছেন পরিবহন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা। একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশে গড়ে প্রতিদিন ১১টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে।

এভাবে গত পাঁচ বছরে ১৫২৯৬টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছে ১৪৯৬৮ হন। আর আহতের সংখ্যা ১৩৫৪৭ জন। প্রতিবেদনটিতেও সড়ক দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে উপরের কারণগুলোকেই করা হয়েছে চিহ্নিত। এআরআইয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে সড়ক দূর্ঘটনা এবং এর প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।

গতকাল সকাল ৯টায় রাজশাহী নগরীর আমচত্বরের পূর্বদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জমূখী সড়কে ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যদিওবা ঐ ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়নি। দূর্ঘটনার পর শাহমখদুম থানার পুলিশ বাসটিকে জব্দ করলেও বাস ও ট্রাক চালক ছিলেন পলাতক। গত শনিবার দুপুরে নগরীর পোস্টাল একাডেমির সামনে বিমানবন্দর সড়কের রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ডের উপরে থাকা দুটি সড়ক সংকেত সম্বলীত দুটো সাইনবোর্ড অর্ধ ভাঙ্গাবস্থায় দেখাগেছে। সেখানকার স্থানীয়দেরকে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায়, এইস্থানে প্রায়শই এমন দূর্ঘটনা ঘটে।

এর আগেও এই সড়কের ডিভাইডারে একাধিকবার গাড়ি উঠেগেছে। বিমানবন্দর সড়কটির পোস্টাল গেট ও জিয়া শিশু পার্কের সংযোগ সড়কের একাধিক স্থানে রয়েছে রোড ডিভাইডার ও আইল্যান্ড। পূর্ব ও পশ্চিম মূখী রোড ডিভাইডারগুলোর সম্মুখভাগের অংশটি ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে রাস্তার সঙ্গে মিশে গেছে। তাছাড়া রাত্রিকালিন সময়ে চলাচলরত গাড়ির চালকদের পূর্ব সংকেত হিসেবে বোঝার জন্য উক্ত ডিভাইডারের সম্মুখভাবে নেই কোন প্রকার আলোকীত ধাঁচের সাংকেতিক চিহ্ন সম্বলীত সাইনবোর্ড কিংবা অন্যকোন ডিজিটাল চিহ্ন।

এই অত্যাধুনিক যুগে অনেকরকম পন্থা আছে যেগুলো ব্যবহার করলে দূর থেকে আসা গাড়ির চালক অতিসহসায় অনুধাবন করতে পারবেন সামনে একটি রোড ডিভাইডার আছে। কিন্তু উক্ত স্থানে যে সাংকেতিক চিহৃ সম্বলিত সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেটি রাতের আধারে অনুধাবন করাটা অনেকটাই কষ্টকর বলে মন্তব্য ঐ সড়কে চলাচল করা গাড়ি চালকদের।

গেল বছরের শেষের দিকে রাজশাহী নগরীর চাঁপাইমুখী বহরমপুর সড়কের আইল্যান্ডে ঢাকাগামী ও চাঁপাইগামী একাধিক যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের উপরে উঠে যাবার ঘটনা আতঙ্কিত করেছে নগরবাসিকে। প্রশস্ত সড়কের মধ্যভাগে থাকা আইল্যান্ড ও রোড ডিভাইডারের উপরে চলন্ত গাড়ি উঠে পড়ার বিষয়টি চালকের অবহেলা কিংবা অপরিপক্কতার বিষয়টিরই ইঙ্গিত বহন করে বলে সচেতন মহল মনে করেন। মধ্যভাবে ডিভাইডার দেবার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সড়কে গুরুত্বপূর্ণ আর দূর্ঘটনা প্রবন এলাকাকে বিপদমুক্ত রাখার বিষয়টিকে।

কিন্তু, বিপদসংকুল এলাকাতেই যদি অহরহ এমন দূর্ঘটনা ঘটে তবে যাত্রী ও পথচারিদের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়টি শতভাগ অবহেলিত আর বিপদসংকুল হয়েই প্রতিয়মান হয় সর্বদা বলে মন্তব্য যাত্রী সাধারণের। রাতের আধারে রাস্তার মধ্যভাগের রোড ডিভাইডার কিংবা আইল্যান্ডগুলোর সম্মুখভাগে রিফ্লেক্টিং জাতীয় হলুদ বা সাদা রংয়ের ব্যবহার করলে সামনের দিকে আগত গাড়ির লাইটের আলোতে সেটি দূর থেকেই সংকেত হিসেবে অতিসহসায় চালকদেরকে সাবধান করে দেয় স্থানটি চিহ্নিত করনের বিষয়টি বলে মন্তব্য করেন গাড়ির চালকেরা।

কিন্তু, সেটি না করে নগরীর অনেক স্থানের মতো বিমানবন্দর সড়কের এই স্থানে সংশ্লিষ্টরা নামেমাত্র সাংকেতিক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করেছেন ছোট্ট একটি ম্যানুয়াল সাইন বোর্ড। যেটা কিনা দিনের বেলাতে কিছুটা কার্যকরি হলেও রাতের আধারে প্রায় অকার্যকর হিসেবেই প্রতিয়মান হয় চালকদের কাছে। তাছাড়াও স্থানটির প্রশস্ততা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই ছোট। আর যে কারনেই প্রায়শই এই স্থানে ঘটে ছোটখাটো দূর্ঘটনা। বিষয়টি গুরুত্বভাবে দেখার জণ্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিমানবন্দর সড়কে চলাচলকারি গাড়ি চালকরা।

অন্যদিকে, রেলগেট থেকে নওহাটা পর্যন্ত দুই লেনের রাস্তাটি চার লেন করার জন্য দুই পার্শ্বের বড় বড় গাছ কর্তন করা হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু, গাছগুলো কর্তন করা হলেও সেগুলো রাস্তা ঘেষে রেখে দেবার কারণে চলাচলরত সকল শ্রেণির গাড়ির জন্য বিষয়টি বিপদগামী হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছে চালকদের কাছে। ফুটপাতবিহীন ঐ রাস্তা দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের কারনে এমনিতেই সড়কটি দূর্ঘটনা প্রবণ সড়ক হিসেবেই চিহিৃত হয়েছে অধিকাংশের কাছে।

তার উপর বড় বড় গাছ কাটার পর রাস্তা ঘেষে কর্তনকৃত গাছগুলো রেখে দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য দূর্ঘটনার ইঙ্গিত বহন করছে বিষয়টি। ছোট খাটো কোন বাহন ফেলে রাখা কর্তনকৃত গাছগুলোর সাথে সামান্য একটু ধাক্কা খেলে ঘটতে পারে প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই, গাছ কাটার পরে যথাযথ ভাবে যথার্থ স্থানে গাছগুলো রাখলে চলাচলের বিঘ্নতা ও সম্ভাব্য দূর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে যাত্রীবাহি গাড়ি ও ছোট যানবাহনগুলো বলে মন্তব্য গাড়ি চালকদের।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris