শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করল টুইটার

Paris
Update : রবিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২১

এফএনএস : ভবিষ্যতে ‘সহিংসতা উসকে দেওয়ার ঝুঁকি থাকায়’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে টুইটার। @realDonaldTrump অ্যাকাউন্ট থেকে সাম্প্রতিক যেসব টুইট করা হয়েছে সেগুলো ‘গভীরভাবে পর্যালোচনা’ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বলেছে এ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ট্রাম্প ও তার অনেক সমর্থকের অ্যাকাউন্টগুলোর উপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট এ নিষেধাজ্ঞার খাড়ায় পড়ল বলে জানিয়েছে বিবিসি। ফেইসবুকসহ বেশকিছু জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা, বিভিন্ন অঙ্গনের জনপ্রিয় ব্যক্তিরাও দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পকে টুইটার থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার দেশটির সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এক টুইটে বলেছিলেন, সিলিকন ভ্যালির জায়ান্টদের উচিত ট্রাম্পের ‘রাক্ষুসে আচরণের’ সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া ও তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা।

শুক্রবার স্থায়ীভাবে বন্ধ করার আগে বুধবার ক্যাপিটলে হানা দেওয়া সমর্থকদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলায় টুইটার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ১২ ঘণ্টার মতো বন্ধ রেখেছিল। সেদিন মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। ওই স্বীকৃতি আটকাতে কংগ্রেস সদস্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক সেখানে হামলা চালায় বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ ওই ট্রাম্প সমর্থকদের সরাতে গেলে বাধে সংঘর্ষ। এতে ৪ বেসামরিক ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। বুধবার সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার সময়ই টুইটার বলেছিল, ট্রাম্প যদি তাদের প্ল্যাটফর্মের নীতি ফের লংঘন করেন তাহলে তার অ্যাকাউন্ট ‘স্থায়ীভাবে’ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

অ্যাকাউন্ট ফেরত পাওয়ার পর ট্রাম্প শুক্রবার দুটি টুইট করেন; যে টুইটগুলোই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। এর একটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লেখেন, “সাড়ে ৭ কোটি অসাধারণ মার্কিন নাগরিক, যারা আমাকে, আমেরিকা ফার্স্ট ও মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইনকে ভোট দিয়েছেন, তাদের কণ্ঠ ভবিষ্যতে আরও জোরাল হবে। কোনোভাবে তাদেরকে অসম্মান বা তাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা যাবে না।” এই টুইটের মাধ্যমে ট্রাম্প যে ‘নিয়মমাফিক ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছেন না তার আরও ইঙ্গিত রয়েছে’ বলে এক ব্যাখ্যায় জানিয়েছে টুইটার।

অন্য টুইটটিতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট লিখেছিলেন, “যারা জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ২০ জানুয়ারির অভিষেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না।” এ দুটো টুইটের মাধ্যমে ট্রাম্প ‘সহিংসতাকে মহিমান্বিত করে’ প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা লংঘন করেছে বলে জানিয়েছে টুইটার।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris