বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা’র ৫ম প্রকল্পের ‘গ্রীন ছায়েরা মঞ্জিল’ এর শুভ উদ্বোধন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার

ধূধূ বরেন্দ্রর মাঠে মাঠে এখন আলু ক্ষেতের সবুজ সমারোহ

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২১

আর কে রতন : গত কয়েক বছর ধরেই আলুতে লোকসান গুনছেন রাজশাহী অঞ্চলের চাষিরা। এতে ছোট ও মাঝারি চাষিরাদের মধ্যে কেউ কেউ আলু চাষ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। এরই মাঝে গত মওসুমের উৎপাদিত আলুর আকাশছোঁয়া দাম পাওয়ায় চলতি আলু চাষে মজেছেন বরেন্দ্র খ্যাত এই অঞ্চলের আলু চাষিরা। তাতে চলতি বছরে আলু চাষে গতবারের তুলনায় পরিধি ও উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন আলু চাষিরা। তাদের ভাষ্যমতে, আলু চাষে যেমন ব্যাপক লাভ, তেমনি লোকসানও গুনতে হয়। প্রতিবছরই লাভের আশায় চাষে নামছেন কৃষক।

বরেন্দ্র অঞ্চলে বাণিজ্যিক আলুচাষ বেড়েছে। আলু তুলে অনেকেই বোরো আবাদ করছেন। কেউ করছেন ভুট্টা চাষ। চাষে আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগে অধিক ফলন পাচ্ছেন চাষি। আলু তোলার পর পরবর্তী ফসল চাষে কমছে খরচ। আর এ কারণেই ঝুঁকি নিয়ে আলু চাষে নামছেন কৃষক। অতীতে রাজশাহীর বাগমারা, মোহনপুর, পবা ও দুর্গাপুর উপজেলায় আলু চাষ কৃষকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে কালের পরিবর্তনে ৯টি উপজেলাতে বাণিজ্যিক ভাবে আলু হচ্ছে। তাই এক সময়ের ধূধূ বরেন্দ্রের মাঠে মাঠে এখন আলু ক্ষেতের সবুজ সমারোহ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছেন, উত্তরের এই জেলায় এ্যাস্টেরিক,কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড জাতের আলু বেশি চাষ হয়ে থাকে। গত ২০১৯-২০ মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। গড়ে হেক্টর প্রতি ২৬ টন করে আলু উৎপাদন হয়েছে। জেলার মোহনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও বাণিজ্যিক আলু চাষি দিলিপ কুমার সরকার তপন কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিক আলুচাষ করছেন তিনি। এবার তানোর এলাকায় তার প্রায় ২২ বিঘা জমিতে আলুচাষ রয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রতিবিঘায় আলু উৎপাদন হয় প্রায় ৪ টন। সবমিলিয়ে এ বছর উৎপাদন খরচ আসবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার। তিন বছর আগে আলুচাষ করে পুঁজি হারিয়েছে। গত বছর বেশি দামে আলু বিক্রি হওয়ায় এবার লাভের আশা দেখছেন তিনি। আলুতে যেমন ব্যাপক লাভ তেমনি ব্যাপক লোকসানও হয়। তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার বাণিজ্যিক আলু চাষি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, গত মওসুমে প্রথম দিকে আলুর বাজার নিম্নমুখী ছিলো।

পরে ভারি বৃষ্টি ও ব্যানার কারনে আলু ভাল দামে বিক্রি করতে পেরেছি। তবে এ বছর ওই বাজার আশা করা ঠিক হবে না। কারন কাচাঁ মালের ব্যবসার কোন গ্যারান্টি নেই। জেলার পবা উপজেলার বড়গাছি এলাকার লালটু আলম বলেন, কয়েক বছর ধরেই রাজশাহীতে আলু চাষের অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাছাড়া উন্নত মানের আলু বীজ ব্যবহার করছেন চাষিরা। আর এতেই বাম্পার ফলন মিলছে। তবে প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা আরো মনোযোগী হলে চাষিরা বেশি লাভবান হবে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক বলেন, এই অঞ্চলের মাটি আলু চাষের উপযোগী। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আধুনিক আলু চাষের কলাকৌশল নিয়ে সবসময় কৃষকদের পাশে রয়েছেন। আলুর ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় কৃষক লাভবান হচ্ছে। তাছাড়া আলু তোলার পর বোরো ও ভুট্টা চাষে খরচ কমে আসে। ফলে দিন দিন এই অঞ্চলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আলু চাষ। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না দেখা দিলে এবারও আলুর বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশা করছেন এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও বড় বাণিজ্যিক আলু চাষিরা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris