মোবারক হোসেন শিশির, দুর্গাপুর : রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার আসন্ন জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছেন শিক্ষিত তরুণ সমাজ সেবক উপজেলা সৈনিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ। উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের প্রবীন নবীন ত্যাগী ও গ্রহনযোগ্যশীল নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে তৃনমূলে প্রচার প্রচারনা ও গনসংযাগ শুরু করেছেন শেখ ফিরোজ আহমেদ। দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তিতে নিজের অবস্থান শক্ত করার পাশাপাশি ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় কর্মী সমর্থক ও সাধারন ভোটারদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। তরুন, শিক্ষিত, গরীবের বন্ধু, সমাজ সেবক উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদকে ঘিরে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী সহ সাধারন ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।

জয়নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকলেছুর রহমান বলেন, উপজেলা সৈনিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ একজন শিক্ষিত তরুন যোগ্যতা সম্পূর্ন রাজনীতিবীদ । তিনি সর্বদা অত্র ইউনিয়নের সাধারন জনসাধারনের যেকোন বিপদে আপদে সব সময় পাশে থেকে সহযোগীতা করে আসছেন। শেখ ফিরোজ গরীব দূখী মেহনতি আপামর জনসাধারনের নেতা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তিতে শেখ ফিরোজ আহমেদ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের যোগ্য প্রার্থী ।

উপজেলা সৈনিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ ফিরোজের মতো নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। দাউকান্দি ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুস আলী বলেন, শেখ ফিরোজ আহমেদ দলের জন্য একজন নিবেদিত প্রান। তার বলিষ্ঠ ও বেগবান নেতৃত্বে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনকে সুসংগঠিত ও প্রানবন্দ করেছে।

আগামী দিনে তার মুজিব আদর্শিত বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম গতিশীল করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্নিত করবো। জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আসন্ন জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা সৈনিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ ফিরোজকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রিয় কমিটির নীতি নির্ধারক সহ মনোনয়ন বোর্ডের সন্মানিত সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন ও বাজুখলশী ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব বলেন, উপজেলা সৈনিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদের বাবা ছিলেন সর্বকালের সর্বচেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শিত রাজনীতিবীদ নেতা।

তার বাবা মরহুম আব্দুল মালেক জয়নগর ইউপি সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী ইউপি নির্বাচনে তার সুযোগ্য পুত্র শেখ ফিরোজ আহমেদকে অত্র এলাকার ভোটাররা দলমত নির্বিশেষে ভোট প্রদানের মাধ্যমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। জয়নগর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সুলতান মোস্তফা বলেন, শেখ ফিরোজ আহমেদ একজন নম্র ভদ্র বিনয়ী স্বভাবের অধিকারী। সকল জনসাধারনের সাথে তার নম্র ভদ্রতা ও শ্রদ্ধাশীল ব্যবহারে সকলের মন জয় করেছেন। তিনি এমন একজন মানবিক নেতা এই এলাকায় বিগত বর্ষা মৌসুমের টানা বর্ষনে যে সকল রাস্তাঘাট ভেঙ্গেচুরে গর্ত ও খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে পথযাত্রীদের চলাচলে দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছিলো ব্যাক্তিগত অর্থ ব্যায়ে সেই সকল রাস্তাঘাট সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে দিয়েছে।

তার এমন ভালো উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি শেখ ফিরোজ আহমদের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপদিতে নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করতে সর্বদা প্রস্তুতি নিয়েছে এলাকাবাসী। নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমি একজন মুজিব আদর্শিত পরিবারের সন্তান, বংশীয় ভাবে রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধি পরিবারে আমার জন্ম। আমি ছাত্র জীবন থেকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছি। রাজশাহী কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না করে জনগণের সেবা করার জন্য এলাকায় আসি। দল আমাকে যোগ্য মনে করে উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করে।

দীর্ঘদিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে সংগঠনের সাংগঠনিক নীতি ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। আসন্ন জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষন করায় দলীয় হাইকমান্ড থেকে সবুজ পেয়ে আমি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছি। অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারন ভোটাররা আমার সাথে সক্রিয় ভূমিকায় আছেন। দল আমাকে যোগ্য মনে করে দলীয় মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।