মঙ্গলবার

২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার রাসিককে সুদৃঢ় আর্থিক ভিত্তির উপর দাঁড় করতে চাই : মেয়র কাতারের আমির আসছেন আজ, সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার দখলের সুযোগ বালিশকাণ্ডের সেই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে রাবির হল, অনিয়মের অভিযোগে দুদকের হানা/৩

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের বোনকে খুন!

Paris
Update : বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : প্রায় দুই বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে চাঞ্চল্যকর রফিজা খাতুন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার বাদী মুছা মিয়া প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্বামী পরিত্যক্তা বোন রফিজা খাতুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে জানিয়েছেন পিবিআইর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ভাদুঘর এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানান তিনি।

গত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত দরবেশ মিয়ার মেয়ে রফিজা খাতুনকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করেন তার আপন ভাই মুছা মিয়া ও তার সহযোগীরা। পরবর্তীতে মুছা মিয়া নিজেই বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি নাসিরনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই বছর পর এ মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইকে। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গ্রেপ্তাররা হলেন- রামপুর গ্রামের মৃত দরবেশ মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. আক্কাছ মিয়া (৪৫) ও মৃত সাদত মিয়ার ছেলে পরশ মিয়া (৪৫)।

এসপি শাখাওয়াত হোসেন জানান, রামপুর গ্রামের দরবেশ মিয়ার ছেলে মুছা মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের বাসিন্দা আবু কালামের গোষ্ঠিগতসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। সর্বশেষ গ্রামের একটি খাস জমি দখল নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। ওই জমি নিয়ে গত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে আবু কালামের একজন সমর্থক নিহত হন। এ খবর জানার পর মুছা মিয়া প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনায় আরও কয়েকজন অংশ নেন।

এসপি আরও জানান, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মুছা মিয়া ও তার ভাই মোবারক, সোহাগ মিয়া, ভগ্নিপতি জয়নাল এবং চাচাতো ভাই আক্কাছসহ আরও কয়েকজন রফিজা খাতুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে ঘটনার দিন রফিজাকে বাড়ির আঙিনায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পরিকল্পনাকারী। এরপর প্রতিপক্ষের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মুছা। এসপি জানান, পিবিআই মামলাটি তদন্তভার পাওয়ার পর বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আক্কাছকে গ্রেপ্তার করে।

পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সোহাগ ও পরশকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। মূলত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মুছা মিয়াসহ জড়িত সব আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসপি শাখাওয়াত হোসেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris