শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও ১২০০ রোহিঙ্গা গেলো ভাসানচরে

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : দ্বিতীয় দফায় আরও ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে অন্তত ৩০টি বাস রওনা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এই বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি। এদিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমরান হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (আজ) দুপুর নাগাদ ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা ভাসানচর এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এই প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই ঢাকায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা স্থানান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিরোধিতাকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেন। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী সংলগ্ন সাগরের দ্বীপ ভাসানচরে নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম হয়ে নৌবাহিনীর জাহাজে করে প্রথম দলকে পাঠানোর পর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমালোচনার মধ্যেই গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দলকে পাঠানো হল। বেলা ১২টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রথম বহরে ১৩টি বাস রওনা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

পরে রওনা হয় ১৭টি বাসের আরেকটি বহর। স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রাতেই অনেক রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। আবার অনেককে গতকাল সোমবার সকালে আনা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস। স্থানীয় মুদি দোকানি আবুল কালাম জানান, গতকাল সোমবার বেলা ১২টায় দ্বিতীয় বারের মতো প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৩টি বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায় তার সামনে দিয়ে।

উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শফিক আজাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতোই এবারও রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা দেখা গেছে। প্রথম দফার মতো এবারও রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris