শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসি নিয়ে ৪২ বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি বিএনপির অফিসে বসে ড্রাফট করা : তথ্যমন্ত্রী

Paris
Update : সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৪২ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী যারা ইসির বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে, তারা বিভিন্ন সময় বিএনপির পক্ষে কথা বলেন, তারাই এই বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাও। বিবৃতিটি বিএনপি অফিসে বসে ড্রাফট করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রগতিশীল ন্যাপ আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে ৪২ বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি আসলে বিএনপির ড্রাফট করা বিবৃতি। ইসি নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এভাবে বিবৃতি দিয়ে প্রশ্ন তোলা অমূলক। দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হতে পারে, সমালোচনা হতে পারে গঠনমূলক। কিন্তু বিএনপির মতো বুদ্ধিজীবীরা অন্ধের মতো সমালোচনা করে, গঠনমূলক সমালোচনা করুন। নতুবা আপনাদের বিবৃতিতে মানুষ অবাক হয়ে যাবে। দেশের লোকে বলবে, তারা বিএনপির মতো অশিক্ষিত। কাল (গত শনিবার) দেখলাম বিএনপির মেজর হাফিজ যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা তাদের কোন্দল প্রকাশ পেয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে নিজের ঘরটা সামলান।

যারা নিজের ঘর সামলাতে পারে না, তারা দেশ সামলাবে কেমন করে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ শুধু বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে, তা নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের উন্নতি হয়েছে, ভাগ্যের উন্নতি হয়েছে। প্রতিটি সূচকে আজ বাংলাদেশ পাকিস্তানের ওপরে। এমনকি কিছু সূচকে ভারতেরও ওপরে। আজ পদ্মা সেতু হলো, বিএনপি নীরব। বিএনপির নেতারা পদ্মা সেতু হবে না, আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু বানাতে পারবে না বলে শুরুতে আওয়াজ তুললেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার সেটা বাস্তবায়ন করেছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এটি নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিএনপি চুপসে গেছে। লজ্জায় তারা কোনো কথা বলছে না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এমন একজন মানুষ ছিলেন, যার জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি।

তিনি রাজনীতি করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছে বঙ্গবন্ধুর বিকাশ ঘটেছে প্রথম জীবনে। বঙ্গবন্ধুর নেতারা যা বাস্তবায়ন করতে পারেননি, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেটা বাস্তবায়ন করেন। নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কাছ থেকে। সংগঠনের সভাপতি পরশ ভাসানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, গণ আজাদী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ সরওয়ার হোসাইন প্রমুখ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris