শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় কলেজ সভাপতি-অধ্যক্ষের দ্বন্দ্বের শিকার বাঘা যতীনের ভাস্কর্য

Paris
Update : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত। গত শুক্রবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান (৩৫), সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের সঙ্গে বাকিরা যারা রয়েছে, তাদেরও খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে এবং আদালতে সোপর্দ করা হবে। তানভীর আরাফাত বলেন, তদন্তে আমার যেটা এখন পর্যন্ত জেনেছি সেটি কলেজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে।

কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুনু এবং অধ্যক্ষ হারুনর রশিদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব বিরাজমান। এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি এই কারণে হয়তো ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হতে পারে। এ ঘটনার চাক্ষুস প্রমাণ রয়েছে। কলেজের দারোয়ান ঘটনাটি স্ব-চোখে দেখেছে। তারা বেশ কিছুক্ষণ ধরে সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। রাত ১১টা থেকে আড্ডার ছলে তারা রাত পৌঁনে ১টার দিকে হাতুড়ি দিয়ে তিনটি স্থানে তিনটি আঘাত করে। পরে তারা মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করে।

এদিকে, গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়া শহরের থানা মোড়ে জেলা জাসদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে জেলা জাসদের নেতারা। এরআগে, গত শুক্রবার ৪ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা একইভাবে হাতুড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও তাদের সহযোগী দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris