প্রেস বিজ্ঞপ্তি : প্রথিতযশা গম্ভীরা শিল্পী ও অভিনেতা, গম্ভীরাসম্রাট খ্যাত নানা কুতুবুল আলমের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে স্থানীয় টাউন ক্লাব মিলনায়তনে কতুবুল আলম স্মৃতি সংসদের আয়োজনে এই স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কতুবুল আলম স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন দেশ বরেণ্য সাংবাদিক দৈনিক জাগরণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারী নেত্রী শাহীন আকতার রেনী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তানবিরুল আলম, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমীন, শিক্ষাবিদ কনক রঞ্জন দাস, কুতুবুল আলমের সন্তান মো. সুজাতুল আলম কল্লোল।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গম্ভীরা বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতের অন্যতম একটি ধারা। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের মালদহ অঞ্চলে গম্ভীরার প্রচলন রয়েছে। গম্ভীরা গানের মাধ্যমে কুতুবুল আলম সমাজের দোষ-ক্রটি তুলে ধরে সমাজের গুণগত পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। এমনকি গম্ভীরা গানকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের গম্ভীরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছিল। কুতুবুল আলম-রাকিব উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়ার দাবি জানিয়ে রাসিক মেয়র বলেন, কুতুবুল আলম-রাকিব উদ্দিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। এই গুণী ব্যক্তিদের সম্মান জানালে ভবিষ্যত প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে।
বিশিষ্ট সমাজসেবী ও নারীনেত্রী শাহীন আকতার রেনী তাঁর বক্তব্যে বলেন, কুতুবুল আলম আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবারের বেশীর ভাগ সদস্যকে হারিয়েও ৭১ মুক্তিযুদ্ধ থেকে পিছু হটেননি। এসব গুণী মানুষের আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখলে ভবিষ্যত প্রজন্ম তাঁর ইতিহাস ঐতিহ্য জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে নিজকে গঠন করবে। সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান বলেন, এই শিল্পই যে শিল্প, যার গোড়া মাটিতে পুঁতানো থাকে। কুতুবুল আলম তাঁর কর্মের মাধ্যমেই সবার মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। কারণ গম্ভীরা সমাজ পরিবর্তনে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে আসছে।