মঙ্গলবার

২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার রাসিককে সুদৃঢ় আর্থিক ভিত্তির উপর দাঁড় করতে চাই : মেয়র কাতারের আমির আসছেন আজ, সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার দখলের সুযোগ বালিশকাণ্ডের সেই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে রাবির হল, অনিয়মের অভিযোগে দুদকের হানা/৩ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে সরকারি সকল দফতরে ই-ফাইল চালুর উদ্যোগ

Paris
Update : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : সরকারি অফিসগুলোতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনে ই-ফাইল চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২ বছর আগে হাতে নেয়া এই প্রকল্পটি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) ও এটুআই বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে ইআরডিতে ই-পেপার কার্যক্রম চালু হয়েছে। আর ২০২১ সালের মধ্যে কাগজবিহীন হবে ১৯ হাজার সরকারি অফিস। সরকারি দফতরগুলোতে তখন কাগজের বড় বড় ফাইলের পরিবর্তে থাকবে ই-পেপার। পর্যায়ক্রমে দেশের সব অফিস আদালতে ই-পেপার চালু করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সারাদেশে ই-ফাইলিং নিয়ে কাজ করছে একসেস টু ইনফর্মেশন প্রোগ্রাম (এটুআই)। এর উদ্দেশ্য ই-নথির মাধ্যমে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা। কারণ একটা ডাক ম্যানুয়ালি এক ডেস্ক থেকে অন্য ডেস্কে যেতে অনেক সময় লাগে যায়। ই-ফাইল চালু হলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশের সব সরকারি দফতর একটা কমন প্লাটফর্মের মাধ্যমে দাফতরিক কাজ করবে। আর তা হবে ই-ফাইল। বর্তমানে ৭ হাজার সরকারি অফিসে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে ৮৫ হাজার কর্মকর্তা কাজ করে। তারা সবাই ই-ফাইলের মাধ্যমে দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করছে। তাতে স্বচ্ছতার মাধ্যমে সব কাজ দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে।

সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ই-ফাইলিংয়ে কাজ চলছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ রক্ষার্থে ইআরডিতে সব কিছুই ই-ফাইলে হচ্ছে। বড় ক্যাটাগরির ৮টি বিভাগের মধ্যে ইআরডি চলতি বছরের ই-ফাইল কার্যক্রমের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে দেশে ৭ হাজার অফিস ই-ফাইলের মাধ্যমে কাজ করছে। ইআরডির হাতে ৩ হাজার ৮৬১টি ডাক আসে। ওসব ডাক স্ক্যান করে অনলাইনে নিয়ে এসে নিষ্পত্তি করা হয়। ফলে ৩ হাজার ৭১৭টি ডাক ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করেছে ইআরডি। তাছাড়া এর মধ্যে স্ব-উদ্যোগে ই-ফাইল হয়েছে ৯৪২টি। ইআরডি ই-ফাইলের মাধ্যমে ৯৩৮টি পত্র জারি করেছে। কাজের গতি বাড়াতে এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে সব হার্ড কপিও স্ক্যান করে অনলাইনে নিয়ে আসে ইআরডি। ফলে ইআরডির কোন কর্মকর্তা অফিসে না থাকলেও কাজ থেমে থাকে না। যে কোনো সিদ্ধান্ত দেশের বাইরে বসেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ্যাপস ও ইমেল ব্যবহার করে নিষ্পত্তি করছেন ।

সূত্র আরো জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ধারাবাহিকতায় কাজ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ফল হচ্ছে ই-ফাইল। সাধারণ জনগণও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে। ইআরডি অফিসের সব ডাক স্ক্যান করে অনলাইনে নিয়ে আসা হয়। পরে ই-ফাইলের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। কোনো কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ কাজে অফিসের বাইরে থাকলেও কাজ থেমে থাকে না। সব কিছুই অনলাইনে হয়ে যাচ্ছে। যে কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্তও ই-ফাইলের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই ই-ফাইলে কাজ চলছে। আশা করা যায় সরকারের ঘোষিত গোল ২০২১ সালের আগেই ইআরডি পেপারলেস হবে। অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইআরডির সব দাফতরিক কাজ করতে পারবে।

সামনে ই-ফাইল কার্যক্রম আরো বাড়বে। অনলাইনে ফাইল আদান-প্রদান একদিকে যেমন সময় সাশ্রয়ী, তেমনই লাল ফিতারও কোনো দৌরাত্ম্য নেই। ফলে দ্রুত সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সরকারি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করতে ই-ফাইলিংয়ের কোন বিকল্প নেই। ই-ফাইলিং ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি কার্যক্রমকে আরো সহজতর করার একটি সফটওয়্যার সিস্টেম। এর মাধ্যমে সরকারি দফতরের সব কাজ অনলাইনভিত্তিক করা হয়।

এদিকে এ প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০২০ উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির মধ্যেই থাকবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ। সেজন্য শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের কয়েকটি বিভাগ পেপারলেস কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। তার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পেপারলেস করে ডিজিটাল করার কার্যক্রম চলছে। তবে, ঠিক কতদিনের মধ্যে ডিজিটাল হবে তা নির্ধারণ করে অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও তা অনুসরণ করার তাগিদ দেয়া হবে।

কয়েকটি দফতরে বেতন, বিল, বাজেট প্রণয়ন, চিঠিপত্র ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। ডাকের পরিবর্তে এখন অনলাইনে ওসব কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। এ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অফিসে উপস্থিত না হয়েও দাফতরিক কাজ মোবাইলের মাধ্যমে ই-ফাইল এ্যাপ ব্যবহার করে করা যায়। তবে এ ব্যবস্থাপনায় এখনো অনেক মন্ত্রণালয় আগ্রহী নয়। আবার অনেক মন্ত্রণালয়-বিভাগে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ইআরডিতে ব্যাপক সাড়া মিললেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে অনাগ্রহী।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris