বুধবার

২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Norway
সর্বশেষ সংবাদ
অস্বচ্ছতা নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত : রাজশাহীতে ইসি রাশেদা দুই ফিট মাটির নিচ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার নির্বাচন পেছাতে লিগ্যাল নোটিশ নওগাঁ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আ.লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষক কারাগারে হাঁসের ভ্রাম্যমান খামারে আলোর মুখ রাজশাহীর ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন ৩৯ জন মেয়র লিটনের সাথে রাজশাহীর ৩টি আসনে আ.লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎ নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ পন্থায় চলছে বাদুড়ের শরীরে থাকা ভাইরাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা! বাগমারায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি এনামুল হকের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন

বাঘায় স্বামীর সিগারেটের স্যাঁকায় গৃহবধু হাসপাতালে

Reporter Name
Update : শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : রাজশাহীর বাঘায় সিগারেটের স্যাঁকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক গৃহবধু। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, ২৫ বছর বয়সে চারটি বিয়ে করেন জুয়েল রানা নামের এক যুবক। তার অত্যাচারে ৩ স্ত্রী চলে গেছে। সর্বশেষ বছর খানেক আগে ১ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিয়ে করেন উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে সুবর্নাকে (২০)। সুবর্নাও রেহাই পায়নিতার নির্যাতন থেকে। স্বামীর নির্যাতনে ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরে সিগারেটের স্যাকা দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেন। খবর পেয়ে তার মা নাজমা বেগম ও ভাই দুলাল হোসেন রাত ৮টার দিকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিরিন আকতার জানান, ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরের অংশে বেশ কয়েকটি ক্ষতের চিহৃ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, মেয়ের এ অবস্থা দেখে বিষন্ন মনে পাশে বসে আছে মা নাজমা বেগম। এ সময় সুবর্না জানান, আমার স্বামী জুয়েল পরনের পায়জামার ওপর দিয়ে সিগারেটের জ¦লন্ত আগুন চেপে ধরে নির্যাতন করে। সেই আগুনে পুড়ে যায়। শুধু এবারই নয়, বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। অন্তসত্বা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তানও নষ্ট হয়ে গেছে। গরীব পরিবারের মেয়ে তাই নির্যাতন সহ্য করে সংসার করেছি।

সুবর্নার মা নাজমা বেগম জানান, বিয়ের কয়েক মাস পর ধারে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল জামাই জুয়েল। সেই টাকা চাওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যে মেয়েকে নির্যাতন করে। জামাইয়ের সাংসারিক অবস্থা ভালো দেখে মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়। সে এতটা খারাপ হবে বুঝতে পারিনি। এর আগে এসব কারণে থানায় জিডি করা হয়। এই নির্যাতনের কারণে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জুয়েল রানা জানান, একাধিক বিয়ের কথা শিকার করলেও সিগারেটের স্যাকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকে সে আমার কথামতো চলাচল না করে নিজের ইচ্ছামতো চলতে চায়। এনিয়ে সংসারে বাক বিতন্ডা হয়। তবে অশান্তির মূলে হচ্ছে আমার স্ত্রী সুবর্ননার মা। বাঘা থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম জানান, শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সুবর্না বাদি হয়ে একটি অভিযোগ করেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris