এফএনএস : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে নির্যাতন ও পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার কুমরপুর আলিয়া মাদ্রাসার সহাকরী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। সে কুমর পুর গ্রামের মৃত. আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাদ্রাসা শিক্ষক তার স্ত্রী রওশন আরা (২২) কে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে করে। এই ঘটনার পর সকাল ১১ টার দিকে নির্যাতনের শিকার রওশন আরা রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নির্যাতিন রওশন আরার ভাই হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৭ বছর আগে আমার বোনের সাথে ওই শিক্ষক সিরাজুলের সাথে বিয়ে দেই। বিয়ের কিছুদিন পর হতেই প্রায় নির্যাতন করে আসছে। এর আগেও একাধিকবার নির্যাতন করেছে। দুইবার প্রেমতলী ফাঁড়িতে বসে মিমাংসা হয়েছে তবুও সে অব্যহত ভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে। বিয়ের আগে শিক্ষকের চাকুরীটা পেতে আমরাই সহযোগিতা করেছি। শুক্রবার সকালে কোন কারণ ছাড়াই লোহার রড, শক্তলাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধর করে। এতে হাত রক্তাত্ত হয়।

তার মারধরের চোটে দ্রুত বাসা হতে বের হয়ে রাস্তায় পালিয়ে আসলে রাস্তায় এসেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। তার অবস্থা গুরুতর হলে স্থানীয় প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক রামেক হাসপাতালে হস্তান্তর করলে বর্তমানে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক সিরাজুল ইসলামনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মারামারি ঘটনার পর মাদ্রাসা কমিটিকে মিটিং ডাকতে বলেছি।

সেখানে মিমাংসা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এই বিষয়ে প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: কামরুজ্জামান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি জানি, সে বর্তমানে রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।