শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা রাজাকারের তালিকা আগে তৈরি করা দরকার : এমপি এনামুল

Paris
Update : শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বাঙ্গালী জাতির একটি গৌরবের দিন। যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন। আজ তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যে সকল মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন এবং যে সকল মা-বোনের সমভ্রমের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীন দেশ ও লাল সবুজের পতাকা তাদের ঋণ কোনদিন শোধ করা যাবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন তাঁর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁরা সারা জীবন সূর্য সন্তান হিসেবে দেশের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবে। স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে সত্য ও ন্যায়ের পথে দেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনেক রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীরা গোপনে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে।

যারা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদর তাদের তালিকা আগে তৈরি করতে হবে। তারাই প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সর্বদায় ষড়যন্ত্র করে থাকে। রাজাকার আলবদর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে তাদের সন্তানদের বিভিন্ন স্থানে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের কারনে আজ প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাগন বিপাকে পড়েছেন। তাই তাদের তালিকা সঠিক ভাবে তৈরি করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী খাজা এম এ মজিদ, রফিকুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ, বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী, উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এ.কে. এম. ওয়াহিদুজ্জামান, সমাজসেবা অফিসার আব্দুল মমিন, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, মরিয়ম বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, আসাদুজ্জামান আসাদ, মকবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলী হাসান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আশিকুর রহমান সজল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াচিন আলী, জেলা পরিষদ সদস্য নার্গিস বেগম, উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক কহিনুর বানু, যুবমহিলা লীগের সভাপতি শাহীনুর খাতুন, সাধারণ সম্পাদিকা পারভীন আকার, যুবলীগের সভাপতি আল-মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর, ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক নয়ন, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ৪শত ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সেই সাথে বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের পক্ষ থেকে একটি করে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করা হয়।

এরআগে উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর কমপ্লেক্সে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ হাফিজুর রহমান।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris