মঙ্গলবার

২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার রাসিককে সুদৃঢ় আর্থিক ভিত্তির উপর দাঁড় করতে চাই : মেয়র কাতারের আমির আসছেন আজ, সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার দখলের সুযোগ বালিশকাণ্ডের সেই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে রাবির হল, অনিয়মের অভিযোগে দুদকের হানা/৩

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : আজ মঙ্গলবার ১৫ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনেই বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ পেয়েছিল মুক্তির স্বাদ। পরদিন ১৬ ডিসেম্বর কেবল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ঢাকা’ মার্কিন দূতাবাসের কনসাল জেনারেলের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধানের উদ্দেশে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান লে. জেনারেল এ কে নিয়াজী আত্বসমর্পণের ব্যাপারে ১৪ ডিসেম্বর যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, এর জবাব এসেছিলো ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে।

ঢাকা থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বদলে বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল মার্কিন দূতাবাসে। সেখান থেকে বার্তাটির সারকথা চলে যায় ওয়াশিংটনে। মার্কিন কর্মকর্তারা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পাকিস্তানী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিদ্দিক শরীফ তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ গন্থেএ ঘটনার বর্ণনা লিখেছেন, কি‘ তাতে ইয়াহিয়া খান চরিত্রটির বর্ণনা পাওয়া যায় না। ইয়াহিয়া তখন নিজের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করার জন্য কোথাও ব্যস্ত ছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে আত্বসমর্পণ ছাড়া পাকিস্তানী বাহিনীর সামনে আর কোন পথ খোলা ছিল না। আত্বসমর্পণের বিস্তারিত আয়োজনের জন্য ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা এবং পরে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উভয় পক্ষ যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করেছিলেন। সে সময় যৌথবাহিনীর পক্ষে জেনারেল নিয়াজীর সাথে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন টাঙ্গাইলের পথে আগত ভারতীয় মেজর জেনারেল নাগরা। নিয়াজীর সদর দফতরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুক্তিবাহিনীর একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন বর্তমান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। সেদিনই আত্বসমর্পণ অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

আত্বসমর্পণ অনুষ্ঠানে যৌথবাহিনীর অধিনায়ক হিসেবে যোগ দিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় হেলিকপ্টারযোগে সস্ত্রীক ঢাকায় এসেছিলেন লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরা। সে এক বিরল দৃশ্য। বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস, প্রতিটি জনপদ অন্যরকম আনন্দে উদ্বেলিত। তেজগাঁও’ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অরোরাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন জেনারেল নিয়াজী। বিমানবন্দর থেকে যথাক্রমে বিজয়ী ও বিজিত দু‘জেনারেল সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) গিয়েছিলেন। ডিসেম্বরের এ দিনই মূলত স্বাধীন হয়েছিল দেশের প্রতিটি অঞ্চল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris