বুধবার

২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Norway
সর্বশেষ সংবাদ
অস্বচ্ছতা নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত : রাজশাহীতে ইসি রাশেদা দুই ফিট মাটির নিচ থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার নির্বাচন পেছাতে লিগ্যাল নোটিশ নওগাঁ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আ.লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা শিক্ষাক্রম নিয়ে সমালোচনা গ্রেপ্তার ৪ শিক্ষক কারাগারে হাঁসের ভ্রাম্যমান খামারে আলোর মুখ রাজশাহীর ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন ৩৯ জন মেয়র লিটনের সাথে রাজশাহীর ৩টি আসনে আ.লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎ নগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ পন্থায় চলছে বাদুড়ের শরীরে থাকা ভাইরাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা! বাগমারায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি এনামুল হকের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলন

মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী প্রদীপ নেপথ্যে ইয়াবা : র‌্যাব

Reporter Name
Update : সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ। ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ভিডিও ইন্টারভিউ চাওয়ায় প্রথমে হুমকি ও পরবর্তীতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। গতকাল রোববার কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করার পর বিকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব তথ্য জানান। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ভার র‌্যাব পাওয়ার চার মাস ১০ দিন পর তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

৮৩ জন সাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করে ২৬ পৃষ্ঠার এই চার্জশিটে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করেছেন। এই ১৫ আসামির মধ্যে ৯ জন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য, তিন জন এপিবিএন’র বরখাস্ত হওয়া সদস্য এবং তিন জন বেসামরিক ব্যক্তি। ১৫ জনের ভেতরে ১৪ জন কারাগারে আছেন। একজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ১৪ জনের ভেতরে ১২ জন তাদের নিজ নিজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার দুই আসামি ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা জবানবন্দি দেননি।’ র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মামলাযর তদন্তকারী কর্মকর্তা খুব স্পষ্টভাবেই একটি বিষয় সামনে এনেছেন।

ঘটনার সাক্ষী, আলামত, আসামিদের জবানবন্দির মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠভাবে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ। হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করেন আপর আসামি এসআই লিয়াকত আলী, মো. নুরুল আমিন, পুলিশের সোর্স মুহাম্মদ আয়াজ ও মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন। আবার লিয়াকত আলীরকে সহযোগিতা করেন আরেক পুলিশ সদস্য নন্দ দুলাল। পাশাপাশি এপিবিএন’র তিন সদস্যদের সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ওই ফাঁড়ির আরও পুলিশ সদস্য সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করতে এবং ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris