স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৭ নং দেউপাড়া ইউনিয়নের চাপাল সাড়ইল গ্রাম রাতে ১৬ বিঘা কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। কৃষ জমি নষ্ট করে পুকুর খননে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় কৌশলে রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে পুকুর খনন করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানিয় কৃষকরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত ৪ দিন ধরে গোদাগাড়ী উপজেলার ৭নং দেউপাড়া ইউনিয়নের চাপাল সাড়ইল গ্রাম রাতে ১৬ বিঘা কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছে রাতে। অবৈধ এ পুকুর খননে মূল হোতা পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে রাতে পুকুর খননের কাজে সহায়তা করছেন চাপাল সাড়ইল গ্রামের মো শহিদুল ইসলাম, মো বেলাল হোসেনসহ অজ্ঞাত বেশ কিছু ব্যক্তি। স্থানিয় একাধিক কৃষকদের অভিযোগ, গত ৪ দিন ধরে রাতে কৌশলে কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করছে। মাটি খনন কাজে একটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। এসব মাটি কাঁকড়া গাড়িতে করে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছে। এ কাজে সার্বক্ষনিক সহায়তা করছেন সাড়লই গ্রামের শহিদুল ইসলামসহ কিছু ব্যক্তি।
এ ভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি খননের কারনে চার পাসের জমিতে পানি জমে নষ্ট হচ্ছে অন্যান কৃষি জমি। তাদের মাটি খননের কারনে চরম ক্ষতির মুখে পড়ে গেছে চার পাসে থাকা কৃষি জমি গুলি। রাতে অবৈধ ভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার নামে তারা কৌশলে পুকুর খনন করছে। তাদের মাটি খননের কারনে পাসের অন্যান কৃষি জমির মালিকরা বাধা দিলে তাদের মামলা ও হামলার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
এ বিষয় আব্দুর রাজ্জাক মেম্বারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কোন পুকুর খনন করছি না। কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছি। তবে রাতের অন্ধকারে কেন মাটি কাটা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পাসেও মাটি কাটা হচ্ছে কৃষি জমি থেকে সেটা দেখেন গিয়ে। তিনি আরো বলেন, মাটি কাটার জন্য কোন অনুমোতি লাগে না। মাটি কাটার জন্য কৃষি জমিতে চাষ আবাদ আরো ভালো হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয় গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানে আলম বলেন, কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি কাটা অথবা পুকুর খনন নিষেধ। এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।