এফএনএস : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের দামপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি প্রতিবাদ র্যালি দামপাড়া থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। মানববন্ধন শেষে জেলা দায়রা জজ আদালত মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ সারা বাংলাদেশ বিক্ষুব্ধ, বিচারকরাও তার অংশ।
বিচারকরা বিচার করবে, একই সাথে প্রতিবাদও করবে। নাগরিক হিসেবে বিচারকেরও দায়িত্ব আছে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হওয়ার। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রায় ১০০ বিচারক আজকের মানববন্ধন ও র্যালিতে অংশ নিয়েছেন। তারা দেশবাসীকে জানাতে চাচ্ছেন বিচারকরা শুধু বিচার করেন না, প্রতিবাদও করতে জানেন। জাতির জনকের প্রশ্নে বিচারকদের সামনে আপোশ করার কোনো সুযোগ নেই। জাতির জনকের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে আঘাতের তীব্র প্রতিবাদ জানালেন রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা। ‘জাতির পিতার সন্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যে রাজশাহীতে আয়োজিত প্রতিবাদ ও আলোচনা সভা থেকে তারা এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানান। গতকাল শনিবার সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করেন বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর। বক্তারা বলেন, আমাদের মনের যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটাতে এসেছি। সকলেই আজকে মনের টানে অস্তিত্বের, টানে মুক্তিযুদ্ধের, চেতনার বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু প্রতি ভালোবাসার টানে এসেছি। ৫২ সালের ৪ নভেম্বর শনিবার চারটি মূলনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, এবং ধর্ম নিরেপেক্ষ এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু এক ঘন্টা ২৪ মিনিট বক্তব্য দিয়েছিলেন। এই সংবিধান চার মূলমন্ত্রের উপর। বঙ্গবন্ধু যে কথা বলেছিলেন এই দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ও দেশের মানুষ এখানে বসবাস করবে। আমরা মনে করি না চোরের দল রাতের অন্ধকারে একটি ভাস্কর্যে আঘাত করে বঙ্গবন্ধুর সম্মানকে হানি ঘটাতে পারে। এটা আমরা বিশ^াস করি না। কিন্তু এখানে চিন্তার বিষয় রয়েছে! তারা বলেন, ১৯৭১ এ আমরা এ দেশ স্বাধীন করে পরাজিত শক্তিকে দেশের মাটিতে তাদের থাকার অধিকার বঞ্চিত করেছিলাম। সেই প্রেতাত্বা এই দেশেই রয়েছে। এটাই উদ্বেগের বিষয়। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
শুধু আইনি বিষয় নয় আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধুকন্যা এই দেশকে যে জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন এটাতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাদের বলতে চাই আপনি পরাজিত হয়েছেন। আপনি এ দেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বসবাস করেন, নইলে পচ্ছন্দ না হয় তাহলে এ দেশ ছেড়ে চলে যান। প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন, জেলা জজ মীর শফিকুল আলম, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, র্যাব-৫ এর অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল প্রমুখ।
এফএনএস : যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা ও ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাস্তায় নামলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বকে যারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন, তাদের দুঃসাহস না দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা সারা বাংলাদেশের ১০ লক্ষের অধিক সরকারি কর্মচারী একসাথে আছি। এই বার্তাটুকু দেয়ার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। এই দুঃসাহস যারা করবেন তাদের কালো হাত ভেঙে দেয়া হবে। আপনারা যারা সেই দুঃসাহস করছেন তাদের বলছি, আজ আপনারা আমাদের প্রতিবাদ মঞ্চে এনেছেন।
আমাদের রাস্তায় নামাবেন না। রাস্তায় নামলে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, যদি আপনারা আর কখনো এই ধরনের দুঃসাহস দেখান আর কোনো প্রকার সুযোগ যদি আপনারা নেন; তাহলে আপনাদের অস্তিত্বকে বিলীন করে দেব। আমরা সরকারি কর্মচারীরা জানি, কীভাবে সে কাজটি করতে হয় এবং সেখানে আপনাদের ঘরে-বাইরে সবদিক দিয়ে আমরা বাধাগ্রস্ত করব। এ বি এম আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর যে আঘাত, এ আঘাত শুধু আঘাত হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এটি গভীর ষড়যন্ত্রের একটি নমুনা।
এ ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের যে পরাজিত শত্রু, যারা কখনোই সেই পরাজয় মেনে নিতে পারছে না। তাদের সে আচরণটি সময়ে সময়ে বেরিয়ে আসে। সেই আচরণের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে জাতির পিতার নির্মীয়মান ভাস্কর্যের ওপর আঘাত। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এটি নিয়ে প্রতিবাদ না করি, আমরা যদি এটি নিয়ে প্রতিবাদ না করি। তাহলে এই পরাজিত শক্তি আরও বড় ধরনের অপকর্ম করার সুযোগ পাবে। তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, আমরা যখন ২০৪১ সালে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রস্তুতি শেষ করছি, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে আমরা যখন আলাদা একটি জাঁতি হিসেবে মাথাউঁচু করে দাঁড়াচ্ছি।
আমাদের উন্নয়নের ধারাক্রম যেভাবে এগুচ্ছে, সেটিকে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আবার পেছন দিকে ঠেলে দিয়ে একটি ব্যর্থরাষ্ট্রে রূপান্তরের যে ষড়যন্ত্র; মূলত সেই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করার জন্য আমরা এখানে এসেছি। চট্টগ্রাম বিভাগের শীর্ষ এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, আজ এখানে আমরা যারা সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত আছি- আমাদের সচেতন থাকতে হবে, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমরা শুধু একটি মেসেজ দেয়ার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। এই যে পরাজিত শত্রু, স্বাধীনতাবিরোধী শত্রু, বাংলাদেশের অস্তিত্ব যারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের সে দুঃসাহস না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সভাপত্বি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম বন্দর পর্ষদের সদস্য জাফর আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান শাহরিয়ার কবির, জেলা দায়রা জজ মো. ইমাইল হোসেন, শেখ আসফাকুর রহমান, বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সদস্য ও চা বোর্ড কর্মকর্তা নাজনিন কবির, এলজিইডি কর্মকর্তা আশিস কুমার বড়ুয়া, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সবুক্তগীন, বাংলাদেশ আনসারের জেলা কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাশ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সবুক্তগীন সামশুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওমপ্রকাশ নন্দী, বিসিএস কৃষিবিদ ক্যাডারদের পক্ষে মো. আখতারুজ্জামান ও জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আবু নাঈম প্রমুখ।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক। সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের দামপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি প্রতিবাদ র্যালি দামপাড়া থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
এফএনএস : যার হাত ধরে দেশের অর্থনীতি, দেশের শিল্পখাতের উৎপত্তি সেই মহান ব্যক্তির অপমান সহ্য করা হবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে অপমান করার ধৃষ্টতা যারা দেখিয়েছেন তাদের সাবধান করছি। এ ধরনের কোনো অপমান করা হলে প্রয়োজনে একাত্তরের মতো ব্যবসায়ীরা গর্জে উঠবে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মতিঝিলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে এসব কথা বলেন দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগমুহূর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অপমান ব্যবসায়ীমহল মানবে না। আলেম সমাজের আড়ালে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে- এটা সহ্য করা হবে না। যারা সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে তাদের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী বিচারের দাবি জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু হয়েছিলেন যে মহান ব্যক্তিটি সেই মহান ব্যক্তির অপমান আমরা মেনে নিতে পারি না। পঁচাত্তরের ঘটনায় একশ্রেণি চেয়েছিল জাতির পিতার নাম মুছে ফেলতে, তারা সফল হয়নি।
আজও ২০ দলের হয়ে আলেম সমাজের আড়ালে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা আপামর জনতাসহ ব্যবসায়ীমহল এটা মেনে নিতে পারি না। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বলেন, এগিয়ে নেয়ার দেশ বাংলাদেশ। অবমাননার নাম বাংলাদেশ নয়, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেয়ার নাম বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়নে আমরা (ব্যবসায়ীরা) কাজ করছি। বাংলাদেশ এখন গতিশীল। এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশকে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, স্বাধীনতার প্রাক্কালে জাতির পিতার অবমাননা দিয়ে একটি মহল কী বোঝাতে চান। জাতির পিতার অবমাননা করে আপনারা ব্যবসায়ীসহ দেশবাসীকে চ্যালেঞ্জ করবেন না।
যার হাত ধরে শিল্পেরর উৎপত্তি তার অপমান আমরা সহ্য করব না। রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, আজ একটি মহল ব্যবসায়ীদের রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য করেছে। এটা ভবিষ্যতের জন্য হুঁশিয়ারি যে, বঙ্গবন্ধুর অপমান সহ্য করা হবে না। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যখন পূরণ হতে যাচ্ছে তখন জাতির পিতার নামে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের ষড়যন্ত্র মানতে পারি না। বায়রা সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরের প্রাক্কালে জাতির পিতার অপমান কারা করছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। এ ধরনের মানুষ কোথায় থাকেন, কী করেন এটা নিয়ে ভাবতে হবে।
আমরা এ ধরনের মানুষদের বিচার দাবি জানাই। স্টিল মিল ম্যানুফাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সাথে আছি, থাকব। যারা বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে না তারা নিজের পিতাকেও সম্মান করে না। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। আরও উপস্থিত ছিলেন, পোশাকশিল্প মালিক ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ প্রতিনিধি, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফচাকচারার্স এক্সপার্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টি (ডিসিসিআই), বিজিএপিএমইএ, ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ সকল ব্যবসায়ী সংগঠন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ীমহল।
আরা ডেস্ক : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপরে আঘাত কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। রাষ্ট্র, দেশ ও জনগণের ওপর যেকোনো হামলা কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে আইজিপি এ কথা বলেন। পুলিশ প্রধান বলেন, ‘সাম্প্রতিক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে যে ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে, রাতের অন্ধকারে যারা ভাঙচুর করেছে, সেই পিশাচদের প্রতি আমাদের তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা প্রকাশের ভাষা নেই।
দেশ যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা দেখেছি বার বার দেশটাকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে।’ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম আয়োজিত সমাবেশে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্টেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৯টি ক্যাডারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। সভাপতির বক্তব্যে আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আজকে এখানে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতার অসম্মান হতে দেব না।
এটাই হল আমাদের আজকের অঙ্গীকার। জাতির পিতার প্রতি আমরা কতটুকু ঐক্যবদ্ধ এটা স্পষ্ট। ২৯টি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের মাঝে অনেক সময় অনেক বিষয় নিয়ে মতৈক্য হয় কিন্তু আজকে আমরা বঙ্গবন্ধু প্রশ্নে প্রতিবাদ সমাবেশে সবাই ঐক্যবদ্ধ। এটা হল জাতির পিতার শক্তি।’ এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি স্বাধীনতার ৫০ পূর্তিকালেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা।
বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রাণের স্পন্দন। বঙ্গবন্ধুর নামের সাথে মিশে আছে আমাদের আবেগ-অনুভূতিও স্পন্দন। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু। তিনি স্বাধীনতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ যখন কথা বলে আমাদের প্রাণে লাগে। এ ব্যাপারে দেশের ১৭ কোটি মানুষের দ্বিমত থাকার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো প্রকার অপমান, অবজ্ঞা সহ্য করব না, মেনে নেব না।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননাকারীদের প্রতিহতের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা অবমাননা করেছে, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, মহান স্বাধীনতা বিরোধী, দেশ এবং জাতির শক্র। সকলে ঐকবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে। তাদের যেখানে পাওয়া যাবে গণধোলাই দিয়ে পুলিশ সোপর্দ করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চেম্বার ভবনের সামনে রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র। এফবিসিসিআই এর উদ্যোগে একযোগে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন। সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ধ্বংস করা মানে বাংলার ইতিহাসকে ধ্বংস করা। আমরা ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা করি এবং প্রতিবাদ জানাই। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সকলেই এই ঘৃণ্য হীন কাজের তীব্র বিরোধীতা করে বক্তব্য প্রদান করেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, পরিচালকবৃন্দ তৌরিদ আল মাসুদ, সাদরুল ইসলাম, শেখ মোঃ রেজাউর রহমান দুলাল, রিয়াজ আহমেদ খান, সুলতান মাহমুদ সুমন, আসাদুজ্জামান রবি, এস.এম আইয়ুব। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করেন উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি রোজেটি নাজনীন, ওয়েব এর সভাপতি আঞ্জুমান আরা পারভীন লিপি, বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খান, সাবেক পরিচালক এম. শরীফ, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সচিব মহঃ গোলাম জাকির হোসেন এবং সহকারী সচিব মোঃ আব্দুল্লাহ আল ইয়াসিন ও সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
মচমইল থেকে সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদে শনিবার রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভার সভাপতিত্ব করেন ইউএনও শরিফ আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার আবুল।
উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুল মুমীতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভ’মি) মাহমুদুল হাসান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী, প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান, সাবরেজিস্ট্রার তাহাজ্জত হোসেন, বক্তারা ভা¯কর্য অবমাননার প্রতিবাদ জানান ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
স্টাপ রিপোর্টার, দুর্গাপুর : ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান ‘ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার দুপুর ১২ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ মিনি হলরুমে দুর্গাপুর উপজেলায় কর্মরত কর্মকর্তাদের আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলার পাঁচ রাস্তার মোড়ে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসীন মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব আলী মোল্লা, সহকারী কমিশনার ভূমি শুভদেবনাথ, দুর্গাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, খলিল, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বন্দনা সাহা, দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব, দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ, সাংবাদিক মোবারক হোসেন শিশির, জিএম কিবরিয়া, শাহীন আলমসহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাঘা থেকে প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজশাহীর বাঘায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা মিলনায়তন ভবনে বাঘা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ”জাতির পিতার সন্মান রাখবো মোরা অম্লান” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলীর সঞ্চালনায় ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও] শাহীন রেজার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবিএম সারোয়ার হোসেন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, উপজেলা এলজিইিডি প্রকৌশলী রতন কুমার পোদ্দার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি কামাল হোসেন।