শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ১৩ হেক্টর জমিতে কপি চাষ ভালো দাম পাওয়ায় চাষীরা খুশি

Paris
Update : শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

আককাস আলী : শস্যভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁয় এবার ১৩হাজার হেক্টর জমিতে কপি চাষ করা হয়েছে। প্রথমে দাম ভালো পাওয়ায় চাষীরা খুব খুশি। যারা আগাম চাষ করতে পেরেছিল তারা আগাম কপি বিক্রি করে তাদের খরচের টাকা তুলে নিয়েছে। এখন যা আছে তা দিয়ে লাভের আশা করছেন তাঁরা। আগাম ওই কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে প্রতি পিচ বিক্রি করেছেন। তবে এখন দাম প্রায় প্রকার ভেদে অর্ধেকে নেমে এসেছে। একাধিক কৃষক ও কপি ব্যাপারী জানান, স্থানীয় বাজারগুলোতে এখন যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যে নওগাঁর কপি ঢাকার বাজারগুলো দখল কওে নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল বিকাল নওগাঁ সদর উপজেলার ডাক্তারের মোড় হাপানিয়া বাজার এলাকা থেকে ৪/৫ ট্রাক বোঝাই করে কপি রাজধানীতে যাচ্ছে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, ফুল কপি উঁচু জমিতে চাষ হয়। ফলে এবার নওগাঁ জেলায় বন্যাতে কপি চাষের উপর কোনো প্রভাব পরেনি। তাই কৃষকরা সময় মতো কপি চাষ করতে পেরেছন। নওগাঁ জেলায় এবার মোট ১৩হাজার হেক্টর জমিতে কপি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬শ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ৭’শ হেক্টর জমিতে পাতাকপি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২২ থেকে ২৪ মেট্রিক টন কপি উৎপাদন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বর্ষইল ও পত্নীতলা, বদলগাছী, মহাদেবপুর ও মান্দা উপজেলায় কপি চাষ করে থাকেন কৃষক।

চকজাফরাবাদ গ্রামের কৃষক বাবুল সরদার (৫৬) বরিবার সকালে জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে কপি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ১০ কাঠা জমির কপি বর্তমান বাজারে বিক্রি করেছেন প্রতি পিচ ২০ টাকা দরে (২০০০/- টাকা শ’)। প্রায় ১৪ দিন আগে বিক্রি করেছেন প্রতি পিচ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এতে তার দের বিঘা জমির মধ্যে ১০ কাঠা জমির কপি বিক্রি করে দের বিঘা কপি চাষের খরচের ১৫ হাজার টাকা উঠিয়েছেন তিনি।

বাকি ১ বিঘা জমির কপি বিক্রি করবেন এখন যে বাজার দর থাকবে সেই দরে। তাতেও তাঁর লাভ হবে আশা প্রকাশ করেছেন এ কৃষক। আতিথা গ্রামের কপি চাষী মোঃ আসলাম হোসেন ১১ কাঠা জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ করে কপি চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে বিক্রি করেছেন ৮ হাজার টাকার কপি। আরো ৮ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে তার আশা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris