বৃহস্পতিবার

২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খেলার ময়দান ভালো করার চেষ্টায় সাকিব

Paris
Update : শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। অক্টোবরে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন। লম্বা বিরতির পর মাঠে ফিরেও ভুগতে হচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে। বিশেষ করে তার ব্যাটিং ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েই ফুটে উঠেছে। এতদিন ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে মোটামুটি ভালোই করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বল হাতেও ব্যর্থ হলেন সাকিব। অবশ্য এমন ব্যর্থতার পরও সাকিব নির্বিকার, তিনি জানেন না কবে কামব্যাক করতে পারবেন! ব্যাটিং ব্যর্থতার চেয়ে সাকিবের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বেশি। গত আট ম্যাচের বেশিরভাগ ম্যাচেই বাজে শটে আউট হয়েছেন। বৃহস্পতিবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

অফস্পিনার রবিউলের বলে বাজে শট খেলে থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ দিয়ে ৮ রানে বিদায় নিয়েছেন। খুলনার জার্সিতে ৮ ম্যাচ খেলা সাকিবের সর্বোচ্চ রানও বেশি নয় মাত্র ১৫! ২৪ নভেম্বর বরিশালের বিপক্ষে নিজের ফেরার ম্যাচে ১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ৮ ডিসেম্বর বরিশালের বিপক্ষে করেছিলেন ১৫ রান! সবমিলিয়ে ৮ ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ৮২! তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে এতদিন বোলিং পারফরম্যান্স বেশ ভালোই ছিল তার। বৃহস্পতিবার সেখানেও দেখা দিলো ব্যর্থতা।

তরুণ ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ সাকিবের এক ওভারে মেরেছেন চার ছক্কা! সবমিলিয়ে সাকিব ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৬ রান। আর ৮ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই ছিলেন উইকেট শূন্য। বাকি চার ম্যাচে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। স্বভাবগতভাবেই সাকিব নির্বিকার থাকেন নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে। খুব বেশি চিন্তা করতে দেখা যায় না। অবশ্য এর পেছনে কারণও থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার যে কোন সময়ই ক্যামব্যাক করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

যা তিনি দেখিয়েছেন গত বিশ্বকাপেও। বৃহস্পতিবারও এর ব্যতিক্রম দেখা গেলো না। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কামব্যাক নিয়ে প্রশ্নে করা হয়েছিল সাকিবকে। স্বভাবসুলভ ভাবে সাকিবের উত্তর ছিল, ‘জানি না! দেখি কত দ্রুত কামব্যাক করা যায়। চেষ্টা থাকবে যেনো ভালো করতে পারি। বাকিটা দেখা যাক।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris