শনিবার

১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর কারাফটকে ভীন্ন স্বাদে বিয়ে করা সেই যুবকের জামিন

Reporter Name
Update : শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দিলীপ খালকো ভিকটিমকে বিয়ে করায় তার একবছরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামি কারাগার থেকে বের হয়ে জামিনের অপব্যবহার করলে তার জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও আদেশে বলেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ভিকটিমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৫ ডিসেম্বর রাজশাহীর কারাফটকে দিলীপ খালকোর সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বিয়ে হয়। এর আগে গত ২২ অক্টোবর কারাবন্দি আসামি ও ভিকটিমের মধ্যে কারাফটকে বিয়ের আয়োজন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রাজশাহী কারাগারের তত্বাবধায়কের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়। বিয়ের পর সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

আদালতের আদেশ মোতাবেক বিয়ের বিষয়টি অবহিত করে জামিন আবেদন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুনানির পর আদালত দিলীপ খালকোকে এক বছরের জামিন দিলেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সিতানাথ খালকোর ছেলে দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভিকটিম) মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। এরই সূত্র ধরে ভিকটিমকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দৈহিক মেলামেশা করেন দিলীপ খালকো। এতে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু এরপর থেকে দিলীপ খালকো আর বিয়ে করতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে সালিশ নিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত সালিশ বৈঠক না হওয়ায় ভিকটিম ওই বছরের ২৩ অক্টোবর স্থানীয় ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে হাজির হয়ে তার গর্ভধারণ পরীক্ষা করেন।

এরপর ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ি থানায় হাজির হয়ে দিলীপ খালকোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচার শেষে ওই বছরের ১২ জুন এক রায়ে দিলীপ খালকোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ে বলা হয়, যখন ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হন তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর।

২০১২ সালের রায়ের পর থেকে দিলীপ কারাবন্দী। এ অবস্থায় দিলীপ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। এ আবেদনের ওপর শুনানিকালে তার আইনজীবী জানান, ভিকটিম এখানে আছে। তারা বিয়ে করতে সম্মত। জামিন পেলে তাদের মধ্যে বিয়ে হবে। এ অবস্থায় আদালত কারা ফটকে বিয়ের আয়োজন করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।


আরোও অন্যান্য খবর