স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ, ২০২০ উপলক্ষ্যে গতকাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে সমমাননা প্রদান করা হয়। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে সর্বমোট ১১টি প্রতিষ্ঠানকে এই সমমাননা প্রদান করা হয়। রাজশাহী অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৃতীয়বারের মতো গৌরবের সেই সমমাননা পেয়েছেন রাঙাপরি খ্যাত শিরোইল কলোনিস্থ মুসলিম মেডিহেল্থ ইউনানী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহী কার্যালয়ের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এই সমমাননা প্রাপ্তি সম্পর্কে মুসলিম মেডিহেল্থ ইউনানী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, রাষ্ট্রীয় যে কোন সমমাননা পেলে সকলেরই ভাল লাগে। তাছাড়া আমার ও অন্যদের জন্য এই সমমাননাটি অনুপ্রেরণার একটি অংশও বটে। বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ি ও ব্যক্তিরা যদি নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে সরকারকে তাঁর প্রাপ্য ভ্যাট ও কর না দেয় তবে দেশ চলবে কিভাবে। আমাদের সকলের অর্থ দিয়েই দেশ চলে সে বিষয়টি সকলের বোঝা উচিত।
আমরা যে যার অবস্থান থেকে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহীতার বিষয়গুলো পরিপূর্ণভাবে পালন করলে দেশের রাজস্ব যেমন বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি ভাবে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নও হবে তরান্বিত। ভ্যাট কিংবা কর ফাঁকি দেওয়ার অর্থই হলো দেশের সকল মানুষের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রতারণা করা এবং উপরন্তু দেশের ক্ষতি সধন করা। দেশের কোষাগারে অর্থের পরিমাণ যদ বৃদ্ধি পাবে দেশের অর্থনীতির চাঁকা তত বেশি বেগবান হবে বলেও মাসুম সরকার উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য যে, রাঙাপরি খ্যাত শিরোইল কলোনিস্থ মুসলিম মেডিহেল্থ ইউনানী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার এবার ছাড়াও পূর্ববর্তী সময়ে আরো দুইবার সর্বোচ্চ করদাতার সমমানান পান।
তিনি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দূর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ রাখতে চান সকলের কাছে এবং সকলকেই যার যার অবস্থান থেকে কর ও ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত করতে চান। তিনি আরো বলেন, ভ্যাট ও কর পাওয়া যেমন সরকারে অধিকার ঠিক তেমনিভাবে এটা সুনির্দিষ্ট সময়ে আর নিয়মে প্রদান করাটাও সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধের মধ্যেও পরে বলে মনে করেন তিনি।