শনিবার

৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Norway
সর্বশেষ সংবাদ
ডেঙ্গুতে নয় জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭ বাঘায় ফেন্সিডিলসহ দুই মাদককারবারি গ্রেফতার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত রাজশাহীতে ছিনতাইকারী চক্রের ৯ সদস্য গ্রেফতার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর জন্য আশির্বাদ : এমপি এনামুল সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঃ লিটন পুঠিয়ায় টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ মান্দায় আত্রাই নদীর বাঁধে ভাঙন মহাদেবপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত স্যাংশন নিয়ে আ’লীগের একটা পশমও ছেড়া যাবে না : লিটন গোদাগাড়ীতে ভূগর্ভস্থ পানির বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চলতি বছর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত-চীনের সম্পর্ক’

Reporter Name
Update : শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : সাম্প্রতিক সময়ে বার বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী চীন ও ভারত। দু’দেশের সীমান্তে দফায় দফায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দু’দেশের সম্পর্ক। বুধবার এমনটাই দাবি করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষের ঘটনা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। চীনের প্রতি ভারতের স্বাভাবিক মনোভাব ও মানসিকতা বদলে গেছে এই ঘটনার পর থেকেই। একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, এই মুহূর্তে ভারত ও চীনের সম্পর্ক একটি বড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। গত ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে।

১৯৭৫ সালে সীমান্তে সংঘর্ষের পর এই প্রথম এত সমস্যা ও জটিলতা তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, চীন মুখে বন্ধুত্বের কথা বললেও, শত্রুতা চালিয়েই যাচ্ছে। তারা দু’মুখো নীতিতে বিশ্বাসী। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটারও সঠিক ব্যাখ্যা চীন দিতে পারেনি। পাঁচবার পাঁচ রকম ব্যাখ্যা দিয়েছে বেইজিং। কিন্তু এর কোনটাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু যাই হোক না কেন, লাদাখে চীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই অশান্তি সৃষ্টি করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, ভারত চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়।

কিন্তু চীন তা হতে দিচ্ছে না। বারবার আঘাত করার মনোভাবে বিশ্বাসী চীন। ফলে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সীমান্তে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক আলোচনা করার পরেও দু’দেশের সম্পর্কে স্থিতিশীলতা আসেনি। এজন্য তিনি বেইজিংকেই দায়ী করেছেন। এদিকে, সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের কাছেই কয়েকটি গ্রাম তৈরি করেছে চীন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত সীমান্তের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত তিনটি গ্রাম তৈরি করেছে চীন।

অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের কাছে নতুন করে আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা করছে চীন। আর সেটাই আরও একবার নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করছে। ড. ব্রহ্ম চেলানে নামের এক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে, চীন মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য স্থাপন করেছে। আর সামরিক সুরক্ষায় ঘেরা হিমালয়বর্তী অঞ্চলে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভুটানের যে অংশে ডোকলাম সংঘাত হয়েছিল, সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই গ্রাম তৈরি করছে চীন।

আর সেই গ্রামে চীনের বাসিন্দাদেরও এনে রাখা হয়েছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে স্যাটেলাইট চিত্রে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে একটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছে। ওই গ্রামে ২০টি অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে অবকাঠামোর লাল রঙের ছাঁদ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। নভেম্বরে দেখা গেছে আরও ৫০টি স্ট্রাকচার। আর এগুলো সবই অরুণাচলের খুব কাছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris