শুক্রবার

১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় পিতাকে খুনের স্বীকারোক্তি ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩

Paris
Update : বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারায় ছেলের হাতে পিতাকে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে ছেলে। ওই ঘটনায় পুলিশ নিহতের ছেলে মোজাহার আলী (৩২), স্ত্রী, আনোয়ারা বেগম (৫০) ও ছেলের বউ জান্নাতুন ফেরদৌস (২২)কে গ্রেপ্তার করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত আলহাজ্ব মাহামুদ আলী (৬৫)’র বাড়ি উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভটখালী গ্রামে। তার দুই ছেলে আজাহার আলী ও মোজাহার আলী একই বাড়িতে বসবাস করে আসছে তারা। আজাহার আলী দেশের বাহিরে থাকায় তার স্ত্রী খালেদা বেগমের সাথে মোজাহার আলীর স্ত্রী জান্নাতুন ফেরদৌসের প্রায় দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। ওই দ্বন্দ্বের জেরে বাবা মাহামুদ আলী বাড়ি থেকে ছেলে মোজাহার আলী ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে পার্শ্বের জমিতে বাড়ি করে দেয়। এছাড়াও আজাহার আলীর বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা দিয়ে বাবা মাহামুদ আলী ছেলের বউ খালেদার নামে কিছু জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়। জমি দেয়ার পর থেকেই বাবা মাহামুদ আলীর সাথে তার স্ত্রী আনোয়ারা ও ছেলে মোজাহার আলীর মধ্যে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

গত রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাতের খাবার শেষে মাহামুদ আলী তার বাড়িতে অবস্থান করার সময় বাড়ির প্রাচীর টপকে ভীতরে প্রবেশ করে এবং শ্বাসরোধের মাধ্যমে দুস্কৃতকারীরা হত্যা করে পালিয়ে যায়। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির দরজা খোলা না দেখে মাহামুদ আলীকে ডাকতে শুরু করে। প্রতিবেশীর ডাকে সাড়া না দেয়ায় এলাকার লোকজন দরজা ভেঙ্গে বাড়ির ভীতরে প্রবেশ করে বারান্দায় বৃদ্ধা মাহামুদ আলীর লাশ দেখতে পায়। এলাকার লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে বাগমারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশটি উদ্ধার করে। লাশের পরিস্থিতি দেখে পুলিশের সন্দেহ হলে স্ত্রী, ছেলে ও ছেলে বউসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার পর পর ঘটনাস্থলে সিআইডি’র ক্রাইম দলের সদস্যরা তদন্ত শুরু করেছে বলে বাগমারা থানার পুলিশ জানিয়েছেন। সোমবার সন্দেহমুলক পরিবারের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। পরে তার ছেলে মোজাহার আলী পুলিশকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে বাগমারা তানা পুলিশ জানায়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, মাহামুদ আলী হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে, স্ত্রী ও ছেলের স্ত্রীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে ছেলে। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল মঙ্গরবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris