এফএনএস : এক হাতে ব্যাট, আরেক হাতে হেলমেট উঁড়িয়ে ধরা, মুষ্ঠিবদ্ধ হাত আকাশে ছোঁড়া, চেনা এসব উদযাপন হয়ে গেল। এরপর ড্রেসিং রুমের দিকে তাকিয়ে পেশী ফুলিয়ে দেখালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তা তিনি দেখাতেই পারেন। পেশী শক্তির প্রদর্শনী মেলে ধরেই তো তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে! শতরান স্পর্শ করলেন যে শটে, শান্তর সেটি দশম ছক্কা। পরের বলেই আরেকটি ছক্কায় স্পর্শ করলেন তামিম ইকবালের ১১ ছক্কার রেকর্ড।

এক ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি ছক্কার কীর্তি এখন যৌথভাবে এই দুজনের। ফরচুন বরিশালের বোলারদের নাকের পানি চোখের পানি একাকার করে শান্ত ফিরলেন ইনিংসের শেষ ওভারে। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী অধিনায়কের নামের পাশে তখন ৫৫ বলে ১০৯ রান। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ছক্কার রেকর্ডের পাশাপাশি তামিমের আরেকটি কীর্তিও স্পর্শ করলেন শান্ত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বাদ পেলেন তিনি একাধিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির।

এই বছরের শুরুতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ম্যাচে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে তামিমের সেঞ্চুরি ৩টি। এই ম্যাচের শুরুর দিকে শান্তর ব্যাট ছিল অনেকটাই শান্ত। ৫ ওভার শেষে তার রান ছিল ১২ বলে ৭। এরপরই অশান্ত হয়ে ওঠেন। বল আছড়ে ফেলতে থাকেন মাঠের নামা প্রান্তে। মিরাজের এক ওভারে দুটি ছক্কায় ফিফটি স্পর্শ করেন ৩২ বলে।

ছক্কার মালা সাজিয়ে শতরান পূরণ করেন ৫২ বলে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড তামিমের, ৫০ বলে। শান্তর আগের সেঞ্চুরি ছিল ৫১ বলে। আনিসুল ইসলাম ইমনের সঙ্গে এ দিন উদ্বোধনী জুটিতে ১২.২ ওভারে ১৩১ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ইমন করেন ৩৯ বলে ৬৯। ২০ ওভারে রাজশাহীর রান ৭ উইকেটে ২২০।