শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
ক্যানসারে আক্রান্ত হতদরিদ্র কৃষক আবুল কালামকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন তানোর উপজেলা নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে ময়না রাজশাহী নগরীতে গাঁজা, ফেন্সিডিল ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ৪ রাজশাহী চিনিকলের ঘটনা তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, বরখাস্ত ৩ পেলে-ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলে সেরা মেসি ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা : জাতিসংঘ ‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ’ নাটোরে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, ৪ বন্ধু আটক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী এডিটরস ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত

করোনা নেগেটিভ সনদ না থাকায় দুদিনে ৫শত যাত্রী কোয়ারেন্টাইনে

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : করোনা নেগেটিভ সনদ না থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৫ জন বিদেশফেরত যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। গত রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কাতার, রিয়াদ, জেদ্দা ও শারজাহ থেকে ৬টি ফ্লাইটে দেশে আসা যাত্রীদের কারও কাছেই করোনা নেগেটিভ সনদ ছিল না। সে কারণে তাদেরকে রাজধানীর উত্তরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। একই কারণে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও (৩০৪ জনকে একই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল তিন শতাধিক বিমান যাত্রীকে। এ নিয়ে গত দুদিনে ৪৯৯ জন বিদেশফেরত যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হলো।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে অবতরণ করা- বিজি০৪৮ এর (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স) ১১৮ জন, বিএস ৩০৮ (সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স) ৩ জন, কিউআর ৬০৪ (কাতার এয়ারলাইন্স) ১ জন, এসজি এয়ারলাইন্সের ৩৮৮৪ (সৌদি এয়ারলাইন্স) ৩৫ জন, জিকিউ ৫১২ এর (কাতার এয়ারলাইন্স) ১৭ জন এবং এসজি ৩৮৮২ এর ২১ জন যাত্রীর কেউই করোনা সনদ দেখাতে পারেননি। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সম্প্রতি বাংলাদেশে আসতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করে। ৫ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। জানা গেছে, দুদিনে (৬ ও ৭ ডিসেম্বর) দেশি-বিদেশি ৯ এয়ারলাইন্স নির্দেশনা অমান্য করে।

করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়াই যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশে অবতরণ করে তারা। এয়ারলাইন্সগুলো হলো-বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সালাম এয়ার, কুয়েত এয়ারওয়েজ, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, এয়ার এশিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া, গালফ এয়ার ও টার্কিশ এয়ারলাইন্স। প্রাথমিকভাবে নিয়মভঙ্গকারী এয়ারলাইনসগুলোকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আসতে হলে সকল যাত্রীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং নেগেটিভ যাত্রীরাই আসতে পারবেন। বিমানবন্দরে সেই নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।

একইসঙ্গে বিমানবন্দরেও যাত্রীর লক্ষণ উপসর্গ আছে কিনা অনুসন্ধান করা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশফেরত কোনো যাত্রীর উপসর্গ দেখা গেলে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও তাকে নির্ধারিত হাসপাতালে পরবর্তী পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে। প্রয়োজনে আইসোলেশন সেন্টারেও রাখা হতে পারে। কোনো যাত্রীর মধ্যে উপসর্গ দেখা না গেলেও তাকে নিজ বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে যাদের বিএমইটি কার্ড আছে, তারা যে দেশ থেকে আসবেন সে দেশে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা সহজলভ্য না হলে অ্যান্টিজেন টেস্ট বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য পরীক্ষার সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন। বাহরাইন, চীন, সৌদি আরব, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, কাতার, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যে চলাচল করা ফ্লাইটের ক্ষেত্রে করোনা মহামারির মধ্যে এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয় ৫ ডিসেম্বর থেকে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris