এফএনএস : মৌলিকত্বকে বিসর্জন দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। স্বীকৃত ওপেনার থাকলেও মেহেদী হাসান মিরাজকে ওপরে খেলানোর চেষ্টা বুমেরাং হয়েছে। দলে থাকা ক্রিকেটারদের সামর্থ্যরে সঠিক ব্যবহারই করতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। আফিফ হোসেন, ইরফান শুক্কুররা রান পাননি। তামিম ইকবাল ধারাবাহিকভাবে রান করেও দলের ভঙ্গুর অবস্থাকে আড়াল করতে পারেননি। টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচে বরিশালের জয় একটি। প্লে-অফে খেলতে হলে শেষ তিনটি ম্যাচে জয় প্রয়োজন বরিশালের। মঙ্গলবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিরুদ্ধে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলবে তামিমের দল। অধিনায়কও বুঝতে পারছেন, টুর্নামেন্টে দলটির অবস্থা খুব ভালো নয়। তবে শেষ প্রান্তে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় আছেন তামিম। মিরপুর স্টেডিয়ামের বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে বরিশাল।

অনুশীলন শেষে তামিম বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থা ভালো না কোনো দিক দিয়ে। আমাদের জিততেও হবে, প্লাস অন্য খেলার রেজাল্টও আমাদের পক্ষে যেতে হবে। আমরা যদি পরের তিনটা ম্যাচই ভালো করতে পারি, তাহলে আমাদের অবশ্যই ভালো চান্স থাকবে কোয়ালিফাই করার।’ তারপরও টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব মনে করেন বরিশালের অধিনায়ক। বাঁহাতি এই ওপেনার বলেছেন, ‘আমরা কোনো সময় হয়তো বা খুব ভালো ক্রিকেট খেলি নাই এ টুর্নামেন্টে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমরা টার্ন আউট করতে পারি। তাই এটাই আশা করব, পরের তিন ম্যাচ আমাদের ভালো যাবে।

আর প্রথম ৪-৫ ম্যাচের ভুলগুলো মিনিমাইজ করে রেজাল্ট আমাদের পক্ষে আনার।’ তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতেই একটি ম্যাচ জিতেছিল বরিশাল। শেষ কয়েকটি ম্যাচে রান পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। নিজের ব্যাটিং নিয়ে তামিম বলেছেন, ‘আমি এই টুর্নামেন্টে আমার ব্যাটিং যতটুকু করেছি, আমার মনে হয় আমি ভালো ব্যাটিং করেছি। শেষ ৩ ম্যাচে ৩০, ৩০, ৩০ করে আউট হয়ে যাওয়া আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে যে টিমে আমি খেলছি, যেখানে আমার পারফরম্যান্সটা অনেক ম্যাটার করে, সেখানে আমি যদি ৩০ করে আউট হয়ে যাই, এটা আসলে অপরাধ। অবশ্যই ৩০ গুলা যদি আমি ৫০-৬০ করতাম, অন্তত তিনটার মধ্যে যদি একটাও করতাম, তাহলে হয়তো বা রেজাল্ট একটু অন্যরকম হতে পারত।’